পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y 8 a. সরল বেদন্তি দর্শন । কিন্তু উপাসনায় মুখ আছে বলিয়া সেই মুখের জন্য উপাসনা করিৰে ন। সেরূপ করিলেও দোকানদারী ভাব থাকিবে । সুখের কথা একেবারে মনে না আনিয়া শাস্ত্রের বিধি প্রতিপালনের জন্ত উপাসনা করিতে থাকিবে এবং শাস্ত্রের আলোচনা করিবে। এইরূপ করিতে করিতে কোন না কোন কালে অদ্বৈত বা মোক্ষ ৰা অক্ষয় সুখ পাইবে । কিন্তু মোক্ষ পাইব এই আকাজ করা ও নিষিদ্ধ। আকাঙ্ক্ষা করিলেই তপস্যার প্রত্যবায় হয়। কোনরূপ আকাঙ্ক্ষী না করিয়া শাস্ত্রের বিধি প্রতিপালন করিয়া চলিবে । যখন ঈশ্বরের অনুগ্রহ হইবে তখন তিনি অদ্বৈতজ্ঞান দিবেন তজষ্ঠ কিছুমাত্র উৎসুক হওয়া উচিত নহে। আবার কেহ কেহ প্রশ্ন করেন বে মরণ কাল পর্য্যন্ত তপস্যা করিয়া যদিকোন সাধক অদ্বৈতজ্ঞান লাভ করিতে সঙ্গম না হন তাহ হইলে ও তাহার তপস্যার কষ্টভোগ করিয়া কি হইল ? ইহার উত্তরও ইতিপূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে। প্রাকৃতলোকের দৃষ্টিতে তপস্যা ক্লেশকর বটে কিন্তু তপস্যা বাস্তবিক ক্লেশকর নহে। এমন কি প্রাকৃতলোক সাংসারিক বিষয়ে যে আনন্দ উপভোগ করে প্রকৃত সাধক তপস্যাতে তাহার শতগুণ আনন্দ উপভোগ করেন। বিশেষতঃ এই শরীরের সঙ্গেই জগৎ শেষ হয় না। স্থলশরীর ক্ষণভঙ্গর কিন্তু স্বগ্ন শরীর মুক্তি অথবা মহাপ্রলয় পৰ্য্যন্ত স্থায়ী। সুতরাং শাস্ত্রমত তপস্যা করিলে সাধক কোন না কোন জন্মে অবশ্যই অদ্বৈতজ্ঞান লাভ করিবেন। যদি শাস্ত্রমত বরাবর তপস্যা করিতে না পারিয়া সাধক কখন যোগভ্ৰষ্ট হইয়া পড়েন তাহ হইলেও তিনি প্রবৃত্তিমাৰ্গস্থ জীব অপেক্ষ অনেক শ্রেষ্ঠ পদ লাভ করেন এবং অনেক অধিক আনন্দ উপভোগ করেন। ৮ গীতায় এই বিষয় অতি স্পষ্টভাবে বিবৃত হইয়াছে যথা— অৰ্জ্জুন বলিলেন—হে কৃষ্ণ ! কোনও শ্রদ্ধাশীল নিবৃত্তিমাৰ্গস্থ সাধক অদ্বৈতজ্ঞান লাভের পূৰ্ব্বে যদি কোন কারণে কখন যোগভ্ৰষ্ট হইয় পড়েন তবে র্তাহার কি গতি হইবে ? প্রবৃত্তিমাৰ্গ পরিত্যাগপূৰ্ব্বক ব্রহ্মপ্রাপ্তির জন্য নিবৃত্তিমাৰ্গ অবলম্বন