পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু ঐ করিত কথোপকথনে যে সমস্ত উপদেশ দেওয়া হইয়াছে ওঁহি প্রামাণ্য। শাস্ত্রোক্ত ফলশ্রুতিও ঐরূপ। যেমন একটী পীড়িত শিশুকে তিক্ত ভেষজ খাওয়াইবার জন্ত ভেষজটকে শর্করার আবরণ মধ্যে রাখিয়া শিশুর ভোজনার্থে দেওয়া হয়, সেইরূপ মঙ্গুষ্যকে বিধি নিষেধের বশবৰ্ত্তী করিবার জন্ত " বলেন অমুক পুণ্য কৰ্ম্মের অমুক শুভফল, অমুক পাপ কষ্মের অমুক দণ্ড। অমুক কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য বা অমুক কৰ্ম্ম পরিত্যজ্য, এই উপদেশ দেওয়াই শাস্ত্রের উদ্দেশ্য। কিন্তু কেবলমাত্র “ইছা কর ৰ৷ ইহা করিও না” বলিলে দুৰ্ব্বলচিত্ত মানব অনেক সময় সেই বিধি নিযেধ বাক্য গুলি সম্যক, পালন করিতে পারে না। সেই জন্ত শাস্ত্র ফলশ্রুতির নির্দেশ করিয়া উপদেশগুলিকে বিশেষরূপে হৃদয়ঙ্গম করাইয়াছেন । যাহারা জ্ঞানবান, তাহারা “বিধি প্রতিপালমই ধৰ্ম্ম” এবং "ধৰ্ম্মই পরম হিতকর” ইহা জানিয়া বিধি মিষেধ বাক্যগুলি সম্যক পালন করেন। এবং যাহায় শাস্ত্রতত্ত্ব সম্যক রূপে অবগত নহেন, তাহার ফলশ্রুতির প্ররোচনায় বা ভয়ে বিহিত কৰ্ম্ম করেন এবং নিষিদ্ধ কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করেন। আরও “অমুক সময়ে বা অমুক দেশে এই প্রকার ঘটনা হইয়াছিল তজ্জন্ত মমুধ্য বিশেষের বা মনুষ্য সমাজের এই ঐকার উন্নতি বা অবনতি হইয়াছিল, সুতরাং অমুক কৰ্ম্ম কর্তব্য এবং অমুক কৰ্ম্ম অকৰ্ত্তব্য* এই প্রকারে সমস্ত উন্নতি এবং অবনতির কারণ প্রদর্শন করা আল্পসংখ্যক লোকের বা সমাজের বা দেশের ইতিহাসের ধারা হইতে পারে না। সেই জন্ত শাস্ত্র দুই চারি অাদর্শ পুরুষ ও সমাজকে অবলম্বম. পূৰ্ব্বক নানাবিধ উপদেশ দিয়াছেন। ঐ উপদেশগুলিই শাস্ত্রের প্রতিপাদ্য। জাদর্শ পুরুষ বা সমাজগণের ইতিহাসগুলির দিকে শাস্ত্রের লক্ষ্য থাকে না, সুতরাং সেগুলি অপ্রমাণ । বেদে এবং পুরাণে অনেক স্থলেই দেৰাশ্নরের সংগ্রামের উল্লেখ আছে। বাস্তবিক দেবামুরের সংগ্রাম বর্ণনা করা উক্ত আখ্যায়িকাগণের উদেশ্য মহে। জীব ও সমাজগণের স্বাভাবিক বৃত্তিগুলিকে “অমুর” ভাবে এবং শাস্ত্রানুসারিণী বৃত্তিগুলিকে “দেব” ভাবে বর্ণনা করিয়া বেদ ও পুরাণ