পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ প্রবন্ধ । $83 দেখাইয়াছেন যে, স্বাভাবিক বৃত্তিগুলি শাস্ত্রানুসারিণী বৃত্তিগুলিকে স্বভাবতঃ পরাজয় করে। তবে শাস্ত্রের বিধি পালন এবং ঈশ্বরের ভজনা দ্বারা শাস্ত্রামুসারিণী বুদ্ধি বলীয়সী হইলে স্বাভাবিক বৃত্তিসমূহ নিগৃহীত হয়। অনেকে গোপির্মী কৃষ্ণ সংবাদের যথার্থ মৰ্ম্ম অবগত না হইয়া উক্ত সংবাদে কেবল মাত্র পাপাচরণ সনদর্শন করেন। বাস্তবিক সন্ন্যাস ধৰ্ম্মের ওরূপ জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত আর হইতে পারে না। ভগবান, বলিয়াছেন— “সমস্ত ধৰ্ম্ম পরিত্যাগপূৰ্ব্বক একমাত্র আমারই শরণ গ্রহণ কর। আমি তোমাকে সকল পাপ হইতে মোচন করিব। আমার জন্ত সমস্ত ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিলেও শোকের কোন কারণ হয় না ”। সমাজে ঘোরতর নিন্দ এবং সংসারের কঠিন বন্ধন সকল একেবারে তুচ্ছ করিয়া ভক্ত কিরূপে আপন সৰ্ব্বস্ব ঈশ্বরে সমর্পণ পূৰ্ব্বক একেবারে তন্ময় হইবেন তাহার দৃষ্টান্ত গোপিনী-কৃষ্ণ-সংবাদ ভিন্ন অন্ত প্রকারে দেওয়া অসম্ভব। উক্ত ভাবে ঈশ্বরে প্রেম করা কৰ্ত্তব্য ইহাই উক্ত সংবাদের গ্ৰতিপাদ্য। উক্ত সংবাদের বিবৃত ঘটনাগুলি সমস্তই অপ্রমাণ। এইরূপে বিচার করিয়া কোন কোন শাস্ত্রব্যবসায়ীরা সিদ্ধাস্ত করেন যে, ক্রিয়াই বেদাস্তশাস্ত্রের প্রতিপাদ্য, ব্রহ্মের উপদেশ দেওয়া বেদান্ত শাস্ত্রের উদেশ্য নহে । বেদান্তশাস্ত্রের বিধি নিষেধ প্রতিপালন করিলে মনুষ্য ক্রমশঃ শারীরিক ও মানসিক উন্নতি লাভ করিয়া পরিশেষে মোক্ষপদ প্রাপ্ত হন। বেদান্ত শাস্ত্রোক্তরূপে উপাসনা ও অন্তান্ত ক্রিয়া' (যথা ৰঙ্ক, পরোপকার, সদাচার, সৰ্ব্বভূতে দয়া, মিথ্যা কথা না কহ, পরদ্রব্যে অভিলাষ না করা, জিতেন্দ্রিয় হওর ইত্যাদি ) এবং বেদান্তশাস্ত্রের আলোচনা করিলেই শারীরিক ও মানসিক উন্নতি হয়। সুতরাং আলোচনা, উপাসনা ও অন্যান্ত ক্রিয়ার বিধান করা এবং ক্রিয়ার অঙ্গরূপে দেবষ্ঠা, দ্রব্য এবং কর্তার বিষয় উপদেশ দেওয়াই বেদাস্তুশাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য। এই শ্রেণীস্থ শাস্ত্রব্যবসায়ীদের মধ্যে কেহ কেহ ৰলেন ষে নিগুণ ব্রহ্মবিষয়ক বাক্য সকলের সহিত বিধি নিষেধের সংস্পর্শ মা থাকায় ঐ বাক্যগুলি নিরর্থক ও অপ্রমাণ এবং ব্ৰহ্ম বলিয়। কোন