পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9é९: সরল বেদান্ত দর্শন । लदाख् फफ्रिडा ७दश् चबिकांर्षी दनिम्नां छेऊ श्म ।” शृष्ठाख्दब्र७ ८नषों আছে যে রূপধারী নারায়ণ নারদমুনিকে বলিতেছেন—“হে নারদ ! তুমি আমাকে যাহা দেখিতেছ তাহ মায়ামাত্র। আমি সৰ্ব্বভূতের গুণযুক্ত হইয়া তোমাকে দেখা দিয়াছি। আমার নিগুণ ভাব দেখিতে তুমি সমর্থ নহ।” সুতরাং শাস্ত্রের মত এই যে,আত্মা বা ব্ৰহ্ম জীবের ইন্দ্রিয় মন, ও বুদ্ধির অগোচর, এবং ব্রহ্মের স্বরূপ জ্ঞান অসম্ভব। যদি তর্কের অনুরোধে স্বীকার করা যায় যে উপায় দ্বারা জীব ব্রহ্মের স্বরূপ জ্ঞান আয়ত্ত করিত্তে পারে, তাহা হইলেও উক্ত জ্ঞানকে বেদান্তশাস্ত্রের চরম প্রতিপাদ্য বলা যায় না। ইতিপূৰ্ব্বে দেখান গিয়াছে যে, বিধি-নিষেধ-সংস্পৰ্শ-শূন্ত কেবলমাত্র জ্ঞানোপদেশ নিরর্থক ও অপ্রমাণ। জ্যোতিষ, বিজ্ঞান, ভূগোল, প্রভৃতি শাস্ত্র জানিয়া যদি সেই জ্ঞান কোন কাজে না লাগান যায় তাহা হইলে সেই জ্ঞান নিষ্ফল এবং অপ্রমাণ । অতএব ব্রহ্মকে জানিয়া যদি ব্রহ্মের আলোচনা এবং উপাসনা বা শাস্ত্রোক্ত অন্ত ক্রিয়া করা যায় তাহা হইলেই ব্ৰহ্মজ্ঞান সফল হয়। নতুবা কেবলমাত্র ব্রহ্মজ্ঞান অনর্থক ও নিফল । এবং সেই জন্তই শাস্ত্র বলিয়াছেন—আত্মা দ্রষ্টব্য শ্রোতব্য মন্তব্য এবং নিদিধ্যাসিতব্য। অর্থাৎ প্রথমে আত্মাকে মোটামুটীভাবে জানিবে তৎপরে আত্মার বিষয় শুনিবে তাহার পর আত্মার বিষয় বিচার করিবে এবং পরিশেষে আত্মার ধ্যান করিবে1 এক্ষণে এমন বলা যাইতে পারে যে, কখনও কখনও কেবলমাত্র জ্ঞানোপদেশও সার্থক হয়। মনে কয় এক ব্যক্তি একখণ্ড রজ্জ্ব দেখিয়া, ভ্রমবশতঃ উহাকে সর্প মনে করিয়া ভাতিজনিত হৃৎকম্পাদি কষ্টভোগ করিতেছে। সেই সময় যদি তাহাকে বলিয়া দেওয়া যায় যে, যাহাকে সৰ্প মনে করিয়া তুমি ভয় ও কষ্ট পাইতেছ, উহা সৰ্প নহে রঞ্জু মাত্র, তখন তাহার ভয় ও কষ্ট লোপ পায়। সুতরাং কেবল মাত্র জ্ঞানোপদেশ বিধি-নিষেধসংস্পর্শ ব্যতিরেকেও সার্থক ও প্রামাণ্য হইতে পারে। সেইরূপ এই জগৎ মায়াময় এবং ব্ৰহ্মই একমাত্র সত্য এই বাক্যও মিথ্যা জগতের অস্তিত্বজ্ঞান লোপ করাইয়া ইহার মায়াময়ত প্রতিপাদন করে।