পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ব্বিংশ প্রবন্ধ । >や> হইতে সেবককে ভ্ৰষ্ট করিবার কারণ হইয়া সেবকের অনিষ্টকর হয়। বাস্তবিক ব্রাহ্মণজাতি, ক্ষত্রিয়জাতি, ভুবন সকল, দেব সকল, বেদ সকল, ভূত সকল এবং সমস্ত জগৎ আত্মামাত্র । আত্মা ভিন্ন তাহদের পৃথকৃ অস্তিত্ব নাই। যেমন মরীচিকাভ্রম হেতু মরুভূমি জলরাশির দ্যায় প্রতীয়মান হয় সেইরূপ অবিদ্যাবশত নিগুণ আত্ম। জগৎ এবং জীবভাৱে বিৰৰ্ত্তিত হয়। মরীচিকাভ্রম অপস্থত হইলে eঘমন মরুভূমি বালুকারাশি বলিয়া দৃষ্ট হয় সেইরূপ অবিদ্যা লোপ পাইলে নি গুণ আত্ম। সচ্চিদানন্দ বলিয়াই দৃষ্ট হন । আত্মতত্ত্বান্বেষণ, আত্ম তত্ত্ব শ্রবণ, আত্মতত্ত্ব মনন, এবং আত্মতত্ত্ব ধ্যান দ্বারা আত্মতত্ত্ব বিদিত হয় এবং আত্মতত্ত্ব বিদিত হইলে সমস্ত অনাত্ম পদার্থ মায়াময় ও অলীক বলিয়া দৃষ্ট হয় । অনাত্ম পদার্থ অসংখ্য সুতরাং সমস্ত অনাত্ম পদার্থের তত্ত্ব অন্ত্রেষণ, শ্রবণ, মনন, ধ্যান এবং জ্ঞান অসম্ভব । বিশেষতঃ অনাত্ম পদার্থ বাস্তৰিক আত্মার সঙ্কল্প মাত্র বলিয়া অনাত্ম পদার্থের জ্ঞান দ্বারা অযুজ্ঞান হইতেও পারে না । দুন্দুভি আঘাত, শঙ্খধ্বনি বা বীণাবাদন করিলে যে শব্দ উখিত হয় সেই শব্দকে যেমন কেহ অন্ত উপায়ে সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করিতে পারে না কেবলমাত্র দুন্দুভি শঙ্খ বা বীর্ণ গ্রহণ দ্বারা সেই দুদুষ্ঠি শঙ্খ বা বীণা জাত শব্দও আয়ত্ত হয় সেইরূপ আত্মার কল্পনাপ্রস্থত অনাত্ম পদার্থ সমূহ কেহই অন্ত কোন উপায়ে সম্পূর্ণতাবে আয়ত্ত করিতে পারে না কেবলমাত্র আত্মাকে অবলম্বন করিলেই সমস্ত অনুত্ব পদার্থ আয়ত্ত হয়। অতএব অন্বেষণ, শ্রবণ, মনন এবং ধ্যান দ্বারা আত্মজ্ঞান লাভই কৰ্ত্তব্য । যেমন সৈন্ধবখণ্ডের সমস্তই লবণময় এবং তাছার ভিতরে, বাহিরে, পার্থে, সৰ্ব্বত্রই লবণ ভিন্ন আর কিছুই নাই সেইরূপ আত্মাও সমস্তই প্রজ্ঞানময় এবং প্রজ্ঞান ভিন্ন বাস্তবিক, আত্মাতে অদ্য কিছুই নাই। যখন আপন সঙ্কল্প দ্বারা ভূত সকলকে স্বষ্টি করিয়া আত্মা জগৎরূপে বিবর্তিত হন তখনই তাহার কল্পিত জীব তাহাকে নানা ভাবে অবলোকন করে এবং তাহাকে নানা নামে অভিহিত করে। আবার যখন তিনি সেই সঙ্কল্প সম্বরণ করেন তখন সমস্ত জগৎ তাহাতে বিলীন こ>