পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ব্বিংশ প্রবন্ধ । %\ყN9 জানিলেও জীবমাত্রই একটী অনিৰ্ব্বচনীয় পদার্থকে আত্মা বলিয়া জানে । এই আত্মা স্বপ্রকাশ অর্থাৎ যদিও ইহঁার রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ-শব্দ প্রভৃতি কোন প্রকার ইন্দ্রিয়গম্য গুণ নাই তথাপি ইহঁাকে সকলেই আপন আত্মা বা স্বরূপ বলিয়া জানে। ব্রহ্ম সেই সৰ্ব্বজনজ্ঞাত আত্মা এবং তিনিই একমাত্র দ্রষ্ট, শ্রোতা, মস্তা, বোদ্ধা এবং বিজ্ঞাতা এবং তিনিই সমস্ত জগৎকে অনুভব করেন। ইহাই সকল বেদান্তশাস্ত্রের উপদেশ এবং ইহাই সমস্ত বেদান্তশাস্ত্রের উপসংহৃত অর্থ। ঈশোপনিষৎ বলিয়াছেন— “সাধক যতকাল অবিদ্যাগ্ৰস্ত থাকেন ততকাল তাহার পক্ষে তপ উপাসনাদি ক্রিয়া বিহিত এবং উক্ত ক্রিয়া দ্বায়া অবিদ্যা নষ্ট হইলেই সাধকের ব্রহ্মজ্ঞান হয়” শাস্ত্রের এই তথ্য যে সাধক অবগত আছেন তিনি তপ উপাসনাদি শাস্ত্ৰবিহিত ক্রিয়া দ্বারা অবিদ্যাজনিত অজ্ঞানরূপ মৃত্যু অতিক্রম করত অদ্বয়-ব্ৰহ্ম-তত্ত্ব জানিতে পারিয়া আপনার অমর স্বভাব বিদিত হন। ঈশোপনিষৎ অন্ত্যত্র বলিয়াছেন— হে জগৎ-পোষক ! হে জগৎ-প্রাণ ! হে জগৎ-নিয়ামক ! হে বিরাটপুরুষ ! হে স্বৰ্য্য ! তোমার কিরণজাল সম্বরণ কর, তোমার জ্যোতিঃ উপসংহার কর। তুমি প্রসন্ন হইয়া তোমার কল্যাণতম স্বরূপ আমাকে দেখাও। যিনি তোমার আত্মা বা স্বরূপ, তিনিই প্রকৃতির অধ্যক্ষপুরুষ, তিনিই আমার আত্মা বা স্বরূপ এবং আমিই তিনি। f কেনোপনিষৎ বলিয়াছেন— র্যাহাকে বাক্য দ্বারা প্রকাশ করা যায় না, যাহা কর্তৃক প্রযুক্ত হইয়া বাক্য সকল জীবগণের মনে ও শাস্ত্রবাক্য সকল ঋষিগণের মনে উদয় হয়, সেই অনিৰ্ব্বচনীয় সৎ পদার্থকেই ব্ৰহ্ম বলিয়া জান। ঈশ্বর, হিরণ্যগৰ্ভ, বিরাট প্রভৃতি উপাধিবিশিষ্ট উপাস্যভাব সকল ব্ৰহ্ম নহেন : র্যাহাকে মন দ্বারা চিন্তা করা যায় না, র্যাহ কর্তৃক প্রযুও হইয়া মন চিন্তা করিতে পারে, সেই অচিন্ত্য সৎ পদার্থই ব্ৰহ্ম । মায়াপ্রভাবে তিনিই