পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ব্বিংশ প্রবন্ধ । >や● বেদান্ত শাস্ত্র আলোচনা পূর্বক ভক্তিভাবে উক্ত পুরুষকে উপাসনা করত উক্ত পুরুষের অনুগ্রহে উক্ত পুরুষকে জানিতে পারেন সেই সাধক আপন আত্মাকে উক্ত পুরুন্ন হইতে অভিন্ন এবং আপনাকে পূৰ্ব্বোক্ত ষোড়শকলা হইতে পৃথক, নিষ্কল এবং অমরপুরুষ বলিয়া জানিতে পারেন। এ বিষয়ে একটা শ্লোক আছে, তাহার মৰ্ম্ম এই— যেমন রথচক্রের নাভিতে চক্রের অর্গল সকল প্রতিষ্ঠিত থাকে সেইরূপে এই ষোড়শকলা সমূহ যে পুরুষে প্রতিষ্ঠিত আছে তাহাকে জানিবার চেষ্ট৷ কর । মুণ্ডকোপনিষৎ বলিয়াছেন— নাম রূপ সম্বলিত যে জগৎ সম্মুখে দেখিতেছ বাস্তবিক উহার বস্তুত্ব নাই। অবিদ্যাবশতঃ উহাকে সত্য বলিয়া বোধ হইতেছে। ভ্রমবশত যেমন রজুতে সর্পভ্রম হয় সেইরূপ অবিদ্যাবশতঃ ব্রহ্মে জগৎ ভ্রম হইতেছে। বাস্তবিক অমৃত ব্ৰহ্মই সম্মুখে, পশ্চাতে, উত্তরে, দক্ষিণে, অধোদিকে এবং উদ্ধে বিরাজমান রহিয়াছেন । একমাত্র ব্ৰহ্মই এই সমg জগৎব্রুপে ভাসমান রহিয়াছেন। এই জগৎ সেই শ্রেষ্ঠ ব্ৰহ্ম ভিন্ন আর কিছুই নহে। মুণ্ডকোপনিষৎ অন্যত্র বলিয়াছেন— যখন সৰ্ব্বকৰ্ত্তা, সৰ্ব্বেশ্বর, সৰ্ব্বব্যাপী, সৰ্ব্বকারণ, চিন্ময় আত্মাকে সাধক অপরোক্ষ ভাবে জানিতে পারেন তখন সেই বিদ্বান সাধকের পুণ্য-পাপরূপ সমস্ত বন্ধনকারণ দগ্ধ হইয়া যায় এবং তিনি নিরঞ্জন আত্মার সহিত অভিন্ন হইয়া যান। মাঙুক্যোপনিষৎ বলিয়াছেন— এই সমস্তই ব্ৰহ্ম। এই আত্মা ব্রহ্ম। সেই ব্ৰহ্ম বা আত্মা চতুষ্পাৎ অর্থাৎ সাধকের অধিকারভেদে ইনি চারি ভিন্ন ভিন্ন পাদে বা ভাবে ভিন্ন ভিন্ন সাধকের বুদ্ধিতে প্রকাশ হন এবং একই সাধক ও আপনার উন্নতির ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় ইহঁাকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দেখিতে পান। স্থূলভাব হইতে আরম্ভ করিয়া সাধক ক্রমশঃ সুহ্মভাব গ্রহণে অধিকারী হন।