পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ব্বিংশ প্রবন্ধ । ' ১৭৩ বেদাদি কোন প্রকার বাক্য র্যাহার তত্ত্ব প্রকাশ করিতে পারে না স্থায়শাস্ত্রাদি বিচার স্বারা যাহাকে কেহ জানিতে পারে না সেই নিগুণ আত্মার স্বরূপ ভাব আনন্দকে ষে সাধক শাস্ত্রপ্রদর্শিত ধানযোগদ্বারা অপরোক্ষরূপে জানিতে পারেন তিনি দেখিতে পান ষে এক আত্মা ভিন্ন দ্বিতীয় বস্তু নাই, সুতরাং তাহার কোন প্রকার ভয়ের কারণ থাকে না এবং তিনি মুক্ত হন। তরেয়োপনিষৎ বলিয়াছেন— জীব উৎপন্ন হুইয়া প্রথমে আত্ম ব্যতিরিক্ত পদার্থ সকল পরীক্ষণ করে এবং প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন ভাবের ভিন্ন ভিন্ন নাম দেয় ; কিন্তু তাহাতে শাত্তি পায় না । কেন না যদি ও প্রকৃতির নিয়মাবলী স্বক্ষভাবে অবলোকন করত জীব কতক পরিমাণে আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক দুঃখ লাঘব করিতে পারে বটে, কিন্তু কেবলমাত্র প্রকৃতির সেবা দ্বার উক্ত ত্ৰিবিধ দুঃখ হইতে একেবারে মুক্ত হওয়া জীবের সাধ্যাতীত। যখন জীব এই তথ্য বুঝিতে পারে তখন আপনার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ জানিয়াও আপনাকে অনেক শত সহস্ৰ অনর্থের বশীভুত দেখিয়া, জীব অতি দুঃখে সংসার ঘাপন করে। কদাচিৎ ঈশ্বরেচ্ছার কোন পরম কারুণিক আত্মজ্ঞানী আচার্য্যের সম্মুখে উক্ত জীব উপস্থিত হইলে আচার্য উক্ত জীবকে বেদান্তশাস্ত্রোক্ত আত্মজ্ঞান বুঝাইয়া দেন। তখন জীব বুঝিতে পারে যে এই সমস্ত জগতই মিথ”, একমাত্র ব্ৰহ্মই সমস্ত ব্যাপিয়া বর্তমান রহিয়াছেন। তখন জীবের সমস্ত অশান্তি লোপ পায় এবং আমিই ব্ৰঙ্গ এইরূপ অপরোক্ষ জ্ঞান হওয়ায় জীব আধিভৌতিক আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক সমস্ত কষ্ট হইতে মুক্ত হয়। ঐতরেয়োপনিযৎ অন্যত্র বলিয়াছেন— প্রজ্ঞান হইতেই সেই সমস্ত চরাচর জগৎ উৎপন্ন হইয়াছে * এবং উৎপন্ন হইয়৷ সেই সমস্ত জগৎ প্রজ্ঞানকেই আশ্রয় করিয়া প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে। • নীয়তে সত্ত্বাং প্রাপাতে অনেম ইতি নেত্ৰং। প্রজ্ঞানেত্ৰং যস্য তদিদং প্রজ্ঞানেত্ৰং एष९t९ &छ्।। ६ं उ३ इं३। ७९*न श्ंन[८ष् ।