পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ সরল বেদান্ত দর্শন । দেখিতে পাইবেন এবং এক অদ্বিতীয় ব্ৰহ্মই সত্য বলিয়া তাহার নিশ্চয় জ্ঞান হইবে । তখন আর র্তাহাকে কোন উপদেশ পালন করিতে হইবে ন। তখন তিনি ব্রহ্মের সহিত অভেদ হইয়া যাইবেন । তখন র্তাহার সত্ত্ব বিনষ্ট হইবে না ; কিন্তু তিনি আপনাকেই নিত্য, শুদ্ধ, বুদ্ধ, মুক্ত, ব্ৰহ্ম বলিয়া জানিতে পারিবেন। কোন কোন আপত্তিকারকের মতে আলোচনা উপাসনা ও অন্যান্য ক্রিয়ার বিধান করা এবং ক্রিয়ার অঙ্গরূপে দেবতা দ্রব্য এবং কর্তার বিষয় উপদেশ দেওয়াই বেদান্ত শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য। কিন্তু দ্বাদশ প্রবন্ধে উদ্ধৃত বেদান্ত বাক্য সকল পরীক্ষা করিলে স্পষ্টই দেখা যাইবে ষে আপত্তিকারিগণ যে সকল উপদেশের উল্লেখ করেন সে সকল উপদেশ নিম্নাধিকারিগণের জন্তই বিহিত ; সেই উপদেশগুলি বেদাস্তশাস্ত্রের চরম উপদেশ হইতে পারে না। “যখন ব্রহ্মবিদের জ্ঞানদৃষ্টিতে সমস্ত বাহ ও অন্তজগৎ কেবল এক অদ্বৈত আত্মায় বিলয়প্রাপ্ত হয় তখন তিনি কোন, ইন্দ্রিয় দ্বারা কোন বিষয় দর্শন, আঘ্ৰাণ, আস্বাদন, স্পর্শন, শ্রবণ ও মনন করিবেন ? কোন ব্যক্তিকে অভিবাদন করিবেন এবং কোন বিষয় জানিবেন ?” এহ্মবিদের অবিদ্যা নাশ হওয়ায় তিনি কর্তা করণ কৰ্ম্ম ক্রিয়া ও সমস্ত জগৎকে মায়াময় দেখেন, তাহার দৃষ্টিতে তিনিই একমাত্র সচ্চিদানন্দ আত্মা এবং উক্ত আত্মা ভিন্ন অন্ত কোন বস্তু তাহার দৃষ্টিতে সত্য বলিয়া প্রতিভাত হয় না। সুতরাং ব্রহ্মবিদের জ্ঞানদৃষ্টিতে দেবতা দ্রব্য ও কর্তার পৃথক্ অস্তিত্ব থাকিতেই পারে না এবং ব্রহ্মবিদের পক্ষে আলোচনা উপাসনা ও অন্তান্ত ক্রিয়া অসম্ভব। কেহ কেহ আপত্তি করেন যে “যাহা কেহ জানে না যাহা অন্ত উপায়ে জানা যায় না শাস্ত্র কেবল তাহাই জানান” * আত্মা স্বতঃসিদ্ধ বস্তু সুতরাং প্রত্যক্ষ-প্রমাণ-গম্য অথবা অনুমান-গম্য। অতএব আত্মতত্ত্বের উপদেশ জন্ত শাস্ত্রের প্রয়োজন নাই। এই আপত্তি খণ্ডনের জন্ত এই মাত্র বলিলেই পৰ্য্যাপ্ত হইবে যে যদিও আত্মা স্বতঃসিদ্ধ পদার্থ বটেন তথাপি

  • অজ্ঞtভজ্ঞাপকং শাস্ত্ৰং ।