পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ প্রবন্ধ । ›Moዓ আলোচনা করিয়া কোন বিশেষ ফল পাইবেন না। ব্রহ্মবিদ্যার অধিকার কি প্রকারে হয় প্রথম স্থত্রে তাহা সবিস্তারভাবে বলা হইয়াছে। নিত্যানিত্যবস্তুবিবেকী, ইহামুত্রার্থফলভোগবিরাগী, শাস্ত, দাস্ত, উপরত, তিতিক্ষু, শ্রদ্ধাচিত্ত, সমাহিত এবং মুমুকু না হইলে সাধক ব্রহ্মবিদ্যার অধিকারী হন না । আবার ইচ্ছা করিলেই সাধক এই সমস্ত গুণশালী হইতে পারেন না। এই প্রকার গুণশালী হইতে হইলেও সাধনার প্রয়োজন । সেই সাধনাসমূহ বেদান্তশাস্ত্রে বিস্তারিতভাবে বিবৃত আছে। জীবগণকে অনুগ্রহ করত সৰ্ব্বজ্ঞ ভগবান বেদব্যাস সেই সমস্ত সাধনা সংক্ষেপে শ্ৰীমদ্ভগবদগীতায় সঙ্কলিত করিয়া গিয়াছেন এবং ভগবান, শঙ্করাচাৰ্য্য উক্ত গ্রন্থের সুন্দর ভাষ্য রচনা করিয়া গিয়াছেন । সৰ্ব্বোপনিষদো গাবে দোগ্ধা গোপালনন্দনঃ। পার্থে বৎসঃ সুধীর্ভোক্ত দুগ্ধং গীতামৃতং মহৎ ॥ উপনিষদ (অর্থাৎ বেদান্তশাস্ত্র সকল ) গাতীস্বরূপ, গোপালনন্দন শ্ৰীকৃষ্ণ দোহনকর্ত, অর্জুন বৎস, এবং মহৎ গীতামৃত দুগ্ধস্বরূপ, সুধীগণ তাহ পান করেন। সাধক প্রথমে গীতাশাস্ত্র সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করি, বেন। তৎপরে গীতার উপদেশমত কৰ্ম্ম করিতে থাকিবেন। যখন তিনি দেখিবেন যে তিনি সৰ্ব্বতোভাবে গীতার উপদেশমত কৰ্ম্ম করিতে পারিতেছেন তখন তিনি আপনাকে ব্রহ্মবিদ্যার অধিকারী বলিয়া বুঝিবেন । তখন যথানিয়মে বেদান্তশাস্ত্র আলোচনা করিয়া ভক্তিভাবে ৰেদাত্তশাস্ত্রোক্ত উপদেশমত ব্রহ্মের ধ্যান করিতে থাকিলেই সাধক, সম্যক ফল পাইবেন, তাহার অজ্ঞান নষ্ট হইবে, এরং তিনি আপনাকে ব্ৰহ্ম হইতে অভিন্ন বলিয়া জানিতে পরিবেন। ইতি চতুঃস্বত্রী সমাপ্ত । ওঁ তৎ সৎ ॥