পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভমিকা &\ অতি পুরাকালেই ভারতবর্ষের আর্য্যঋষিগণ সংসারের অনিত্যতা ও দুঃখময়ত্ব উপলব্ধি করিয়া কাম ক্রোধ লোভ মোহাদি পরিত্যাগপূর্বক তপশ্চরণ করত ব্রহ্মের সাক্ষাৎ দশন পাইয়া মুক্ত হইয়াছিলেন। স্বয়ং মুক্ত হইয়াও জীবগণের উপকারার্থ তাহারা আপন আপন শিষ্যগণকে মুক্তির উপায় সকল বলিয়া গিয়াছিলেন। সেই সকল উপদেশ বহুকাল গুরুশিষ্য পরম্পরায় মুখে মুখে প্রচলিত ছিল। ক্রমশঃ সেই সকল উপদেশের সারভূত বাক্য সকল বেদান্ত বা উপনিষদসমূহুরূপে লিপিবদ্ধ হইয়াছিল। উক্ত লিপিবদ্ধ বাক্য সকল ভিন্ন অন্যান্য অনেক বিষয়ের উপদেশ শিষ্যগণ গুরুমুখ ছইতে অবগত হইতেন। কাম ক্রোধ লোভ মোহাদি জীবগণের স্বাভাবিকী প্রবৃত্তি। জীবগণ সহজেই এই সকল প্রবৃত্তির বশীভুত হইয়া পড়ে। এই স্বাভাবিকী প্রবৃত্তি সকল হইতে নিবৃত্ত হইতে না পারিলে জীব কখনই ব্ৰহ্মকে সাক্ষাৎ দর্শন করিতে পারে মা। এই স্বাভাবিকী প্রবৃত্তির বশীভূত হইয়া দ্বাপর যুগের অনেক সাধক নিবৃত্তিমাৰ্গ পরিত্যাগপূর্বক স্বৰ্গাদি কামনাপর হইয়া । পড়িয়াছিলেন। সেই সময়ে মহামুনি বেদব্যাস আবির্ভূত হুইয়া আপন শিষ্যগণকে তত্ত্বজ্ঞান প্রদান করেন। র্তাহার উপদেশ সমূহ যাহাতে শিষ্যগণের স্মরণপথে সৰ্ব্বদা জাগরূক থাকে সেই উদ্দেশ্যে তিনি কতিপয় সূত্র রচনা করিয়াও গিয়াছেন। ● স্বত্রগুলি এমন মুকৌশলে নিবদ্ধ হইয়াছে যে, অতি সহজেই কণ্ঠ হয় এবং তাহাজের মধ্যে কোন একটা স্বত্র আবৃত্তি করিলেই সেই সংক্রান্ত যে সকল উপদেশ গুরুদেব দিয়া গিয়াছিলেন সেই সমস্তও শিষ্যগণের স্মরণপথে উদিত হয়। গুরু শিষ্য পরম্পরায় এই সকল উপদেশ বা উল্লি