পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রবন্ধ। ব্রহ্মজিজ্ঞাসা শব্দের অর্থ। স্বত্রের শেষ কথা “ব্রহ্মজিজ্ঞাসা” । “ব্রহ্ম” শব্দ নানা অর্থে ব্যবহৃত হইয়া থাকে —ষথা হিরণ্যগৰ্ভ ব্রহ্মা, ব্রাহ্মণ এবং পরমব্রহ্ম। দ্বিতীয় স্থত্রে “ব্রহ্ম” শব্দের অর্থ বলা হইয়াছে। সেখানে ব্রহ্মের ষে অর্থ উক্ত হইয়াছে প্রথম স্থত্রেও ব্রহ্মের সেই অর্থ বুঝিতে হইবে। জ্ঞানার্থক জ্ঞা ধাতুর উত্তর ইচ্ছার্থে সন, প্রত্যয় করিয়া জিজ্ঞাসা শব্দ নিম্পন্ন হয়। সুতরাং জিজ্ঞাসা শব্দের অর্থ “জানিবার ইচ্ছা”। কোন এক বস্তু জানিবার ইচ্ছা হইলে সেই অভিলাষ পূরণের চেষ্টা হয়। সেই চেষ্টার নাম উপায় ৰিধান বা সাধনা ৷ সাধনার নিমিত্ত ইঞ্জিয় এবং মনকে একাগ্র করার নাম তপ বা তপস্যা ৫। তপস্যার ফল, সিদ্ধি বা অভিলাষপূরণ। জানিবার ইচ্ছার বা জিজ্ঞাসার পর সাধন এবং তপস্যা করিলে ফল হয়—জ্ঞান। জ্ঞান দুই প্রকার। অপরোক্ষ এবং পরোক্ষ। মনে কর “সিংহ” এই কথাটা শুনিয়া সিংহ কি পদার্থ জানিবার ইচ্ছা হইল। সেই ইচ্ছা পূরণের জন্য কেহ অন্যকে প্রশ্ন করিল, কেহ বা অভিধান দেখিল, কেহ বা পশুশালায় চলিয়া গেল। যাহারা অন্তকে প্রশ্ন করিয়া কিম্বা অভিধান দেখিয়া জানিল তাহারা বুঝিল যে সিংহ এক প্রকার পশু , বল প্রভৃতি তাহার কতকগুলি বিশেষ গুণ অথবা লক্ষণ আছে। কিন্তু ষে ব্যক্তি পশুশালায় গিয়া সিংহ দেখিল সে সিংহের স্বরূপ জ্ঞান পাইল । কেবল গুণ বর্ণনায় অথবা লক্ষণ শুনিয়া ষে জ্ঞান হয় তাহ পরোক্ষ জ্ঞান। কিন্তু সিংহ দেখিয়া যে জ্ঞান হয় তাহ অপরোক্ষ জ্ঞান। জ্ঞেয় বস্তুর ভেদে জ্ঞান নানা প্রকার। একটী সিংহ দেখিয়া এক প্রকার জ্ঞান

  • মনসক্ষেত্ৰিয়াণtঞ্চ ঐকাগ্র্যং পরমং তপ: |

ভজ্জ্যীয় সৰ্ব্বধৰ্ম্মেভ্য: স ধৰ্ম্মঃ পর উচ্যত্তে ॥