পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রবন্ধ । —o()o ()0— দ্বিতীয় সূত্র। জন্মাদ্যস্ত যতঃ । জন্মাদি অস্য যতঃ, এই তিনটা কথা লইয়া স্বত্রট হইয়াছে। “জন্ম আদিতে যাহার” এইরূপ সমাস করিয়া জন্মাদি শব্দ নিম্পন্ন হইয়াছে । “অস্য” শব্দের অর্থ “ইহার”। এবং “যতঃ” শব্দের অর্থ “যাহা হইতে”। সমস্ত স্থত্রের অর্থ এই যে “র্যাহা হইতে ইহার জন্মাদি হইয়াছে তিনিই ব্রহ্ম।” এক্ষণে দেখা যাউক “জন্মাদি” এবং “অস্য” ( ইহার ) শব্দ কি অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে। তৈত্তিরায়োপনিষদে তৃতীয় অধ্যায়ে ভৃগুবল্লী নামে একটা আখ্যায়িক আছে। ভৃগুনাম বরুণতনয় ব্রহ্মজিজ্ঞামু হইয়া স্বীয় জনক বরুণের সমীপে আগমনপূৰ্ব্বক কছিলেন, “ভগবন, আমাকে ব্ৰহ্ম বিষয়ে উপদেশ প্রদান করুন”। বরুণদেব পুত্রকে কহিলেন “অন্ন, প্রাণ, চক্ষু, শ্রোত্র, মন ও বাক্য ব্রহ্মোপলব্ধির দ্বার অর্থাৎ এই সকলকে বিশেষ করিয়া পরীক্ষা করিলে ব্রহ্মকে জানা যায়। এবং ব্রহ্মের লক্ষণ এই যে, হিরণ্যগৰ্ভ ব্ৰহ্মা হইতে স্তম্ব (তৃণ ) পৰ্য্যন্ত এই সমস্ত ভূত র্তাহ হইতে জন্মগ্রহণ করে, তাহার আশ্রয়ে জীবিত থাকে, এবং অন্তকালে তাহাতে বিলীন হয়। কেবলমাত্র উপদেশ দ্বারা ব্ৰহ্মজ্ঞান হয় না। ব্ৰহ্মকে জানিতে হইলে তপস্যা করিতে হয়। যে সকল পদার্থ পরীক্ষা করিলে ব্রহ্মকে জানিতে পারা যায় তাহা তোমাকে বলিলাম। এবং ব্রহ্মের লক্ষণও তোমাকে বলিলাম। এক্ষণে তুমি এই লক্ষণ সমূহ দ্বারা তাহাকে পরোক্ষরূপে বুঝিয়া র্তাহার স্বরূপ জানিবার ইচ্ছায় তপস্যা কর। তাহা হইলে তাহাকে অপরোক্ষরূপে জানিতে পরিবে” । তদনন্তর ভৃগুমুনি তপশ্চরণ করিতে লাগিলেন। তিনি তপস্যা করিয়া স্থির করিলেন যে, অন্নই ব্রহ্ম,আব্রহ্ম স্তম্ব পর্যন্ত এই সমস্ত ভূতগণ অল্প হইতে উৎপন্ন হইতেছে, অন্নদ্বারা জীবিত আছে, এবং বিনাশকালে অল্পে ।