পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম প্রবন্ধ । 8む পাইয় তাহার উপদেশে সংসারারণ্যের দোষ সকল দেখিতে পাইয় তাহার উপদেশে সংসারাসক্তি হইতে বিমুক্ত হয়, এবং সেই নিত্যশুদ্ধ মুক্ত সৎচিৎ আনন্দের তত্ত্ব পরোক্ষভাবে শুনিয়া তাহার প্রেমে মগ্ন হইয়া তিনি কে, কোথায় থাকেন, কেমন করিয়া তাহাকে পাইব ইত্যাদি জানিবার ইচ্ছা দ্বারা প্রণোদিত হইয়া গুরুকে ভক্তি এবং গুরুর উপদেশের উপর বিশ্বাস স্থাপন পূর্বক শাস্ত্রবাক্য সকল বিচার করত দেখিতে পায় যে, এই শরীর, ইন্দ্রিয়, মন, বুদ্ধি, অহঙ্কার, চিত্ত হইতে আমি পৃথক, সৎচিৎ আনন্দ ভিন্ন আমার আত্মা অর্থাৎ স্বরূপ অন্ত কিছুই হইতে পারে না, এবং এই কৃৎস্ত্র জগতের আত্মাও সেই সৎচিৎ আননা । অনন্তর শাস্ত্রোপদিষ্ট ধ্যানদ্বারা জীব দেখিতে পায় যে তাহার আপন আত্মা এবং জগতের আত্মা এক ও অভিন্ন। এরূপ প্রত্যক্ষ জ্ঞানকেই অপরোক্ষানুভূতি বলে। সেই সৎচিৎ আনন্দস্বরূপ আত্মা যখন এই সমস্ত জগতের আত্মারূপে প্রকাশিত হন তখন তিনি এই সমস্ত জগতের স্রষ্টা ও ঈশ্বর এবং পরমাত্মা (১) বলিয়া অভিহিত হন এবং সেই সৎচিৎ আনন্দ যখন জীবগণের আত্মা বলিয়া প্রতিভাত হন তখন তিনি এই জগতের অধীন জীবাত্মা (২) বলিয়া খ্যাত (১) ছামোগ্যেপনিষৎ বলিয়াছেন— হিরণ্যগৰ্ভ হইতে অতি সামান্ত তৃণ পর্য্যন্ত স্থাবর জঙ্গম সমস্ত পদার্থ ব্রহ্মের একটি সীমান্ত অংশমাত্র । চিন্ময় অমৃত পরমাত্মাই ব্রহ্মের স্বরূপ ভাব । ৮ গীত বলিয়াছেন— আমি একাংশ দ্বারা এই সমস্ত জগৎ ধারণ করত অবস্থিত আছি । (২) কঠোপনিষৎ বলিয়াছেন— - জীবাত্মাকে রখী, শরীয়কে রথ, বুদ্ধিকে সারথি এবং মনকে অশ্ব পরিচালন রজ বলিয়া জীন ৷ পণ্ডিতেরা বলিয়া থাকেন বে পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় (অর্থাৎ দর্শনেন্দ্রিয়, রসনেপ্রিয়, ব্ৰাণেন্দ্রিয়, স্পর্শনেক্রিয় ও শ্রবণেন্দ্রিয়) উক্ত রথের অখ, এবং পঞ্চ জ্ঞানেক্ৰিায়ের বিষয় (অর্থাৎ রূপ, রসগঙ্ক, স্পর্শ ও শব্দ) উক্ত অশ্বগণের বিচরণের পথ, এবং ইন্দ্রিয় মন যুক্ত আত্মাই এই সংসারের স্বথ দুঃখ ভোগ করিয়া থাকেন। যে রথীর সারথি স্বদক্ষ এবং অশ্ব সকল সম্যক বশীভূত সেই রথী যেমন অনায়াসে পথ অতিক্রম করত অভিলষিত স্থানে গমন করিতে পারে তপস্যা ও শাস্ত্রালোচনা দ্বার বে সাধকের বুদ্ধি নিৰ্ম্মল হয় এবং