পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম প্রবন্ধ । ●● প্রমাণ ব্যতিরেকেই বুঝিতে পারি। সুতরাং দেখা গেল যে, যদি ইন্দ্রিয় শক্তি না থাকিত, তাহা হইলে কেবলমাত্র অচেতন শক্তি দ্বারা এই বাহ জগৎ হইতে পারিত না এবং মানসিক শক্তি বা মন না থাকিলে কেবল ইন্দ্রিয় শক্তি ও অচেতন শক্তি দ্বারা এই অন্তজগৎ হইতে পারিত না । কিন্তু যদি কেবলমাত্র মন থাকে, তাহা হইলে মনের কল্পনা দ্বারা আমরা বাহ ও অন্তজগতের স্বষ্টি স্থিতি এবং ধ্বংস অনুভব করিতে পারি। সুতরাং পিতার উপদিষ্ট স্বত্র অবলম্বনপূর্বক ভৃগুমুনি স্থির করিলেন যে, জগতে যত মন আছে, তাহাদের সমষ্টি বা হিরণ্যগৰ্ভ হইতে এই জগতের স্বষ্টি স্থিতি ও প্ৰলয় হয়, সুতরাং মনই ব্রহ্ম। কিন্তু র্তাহার পিতা আবার বলিলেন যে, তোমার এ সিদ্ধান্তও ঠিক নহে। তুমি আরও তপস্যা কর তপস্যা দ্বারাই ব্ৰহ্ম জানিতে পারিবে। ভৃগুমুনি আবার অনন্তমনে বিচার করত দেখিলেন যে, যে সকল পদার্থ জাগরণাবস্থায় আমাদের ইন্দ্রিয়গোচর হইয়াছে, আমরা স্বপ্নে কেবল সেই সকল পদার্থ বা তাহাদের মিশ্রণে উৎপন্ন অন্ত পদার্থ দেখিয়া থাকি ; এবং সেই সমস্ত স্বপ্নদৃষ্ট পদার্থের জন্তই মুঃখদুঃখাদি ভোগ করিয়া থাকি। আমাদের জ্ঞানের বাহিরের কোন দ্রব্য আমরা স্বপ্নে দেখি না। যদি আমাদের কোন বিষয়েরই জ্ঞান না থাকিত, তাহা হইলে আমরা কোন বিষয়েরই স্বপ্ন দেখিতাম না ও তজ্জনিত মুখ দুঃখাদি অনুভব করিতাম না। জাগরণ কালে মানসিক কল্পনারও সেই অবস্থা। যে সকল পূদার্থ আমাদের ইঞ্জিয়গোচর হইয়াছে; সেই সকল পদার্থের জ্ঞানই আমাদের সমস্ত কল্পনার মূল। হয় এক পদার্থের জ্ঞান লইয়া অথবা ভিন্ন ভিন্ন পদার্থের জ্ঞান মিশাইয়া আমরা সমস্ত বাহ ও অন্তজগতের এবং তাহাদের কাৰ্য্যকারণের কল্পনা করিয়া থাকি। আমাদের জ্ঞানগম্য নহে,এমন কোন পদার্থের সহিত আমাদের কল্পনার কোন সংশ্রব নাই। অতএব কেবলমাত্র মন হইতে জগতের স্বষ্টি স্থিতি লয় হইতে পারে না। কিন্তু বিবিধ জ্ঞান বা বিজ্ঞান হইতেই কল্পনা হয় এবং কল্পনা হইতেই জগতের স্বষ্টি স্থিতি লয় হয়। অতএব ভূগুমুনি বরুণদেবপ্রোক্ত স্বত্রমতে সমস্ত বিজ্ঞানের