পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ প্রবন্ধ । Øዓ কোন পরিবর্তন হয় না। (কঠোপনিষৎ হইতে এই শ্রতিবাক্যটা vগীতায় প্রমাণস্বরূপে উদাহৃত হইয়াছে)। মমুষ্যেরা যেমন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক নুতন বস্ত্র পরিধান করে সেইরূপ নিৰ্ব্বিকার আত্মা এক শরীর পরিত্যাগ পূর্বক অন্ত শরীর গ্রহণ করেন । হে কৌন্তেয় অর্জুন! আমার মায়াপ্রযুক্ত স্থিতিকালে অর্থাৎ প্রকৃতির ব্যক্তাবস্থায় আমাতে ভাসমান এই ভূত সকল প্রলয়কালে আমারই মায়ারূপিণী অব্যক্ত প্রকৃতিতে লোপ পায়, আবার নূতন কল্পারস্তে আমিই তাহাদের স্বষ্টি করি। স্বপ্নবিহীন গাঢ় নিদ্রাকালে অর্থাৎ মুৰুপ্তিকালে মন ও বুদ্ধির অস্তিত্ব অনুভূত না হইলেও তাহারা একেবারে বিনষ্ট হয় না, কিন্তু অব্যক্ত বীজ ভাবে বর্তমান থাকে এবং মুঘুপ্তিকাল অতিক্রান্ত হইলেই আবার মন ও বুদ্ধিরূপে ব্যক্ত হয়। যদি স্বযুপ্তি হইলেই মন ও বুদ্ধি বিনষ্ট হইত তাহ হইলে স্বযুপ্তির পর আর এমন বোধ হইত না যে, যে আমি মুমুপ্তিগ্রস্ত হইয়াছিলাম সেই আমি এখন আবার স্বযুপ্তি হইতে মুক্ত হইয়াছি। সেইরূপ প্রলয় হইলেই জীবের মন বাসনা ও কৰ্ম্মফল একেবারে ধ্বংস পায় না, কিন্তু তাহারা অব্যক্ত বীজভাবে বর্তমান থাকে। আবার প্রলয়াবসানে তাহারা ব্যক্ত হয়। সুতরাং প্রলয় হইলেই জীব মুক্ত হয় না। মুক্তির জন্ত জীবকে শাস্ত্রোপদিষ্ট মতে চলিয়া ঈশ্বরকে অনন্তভাবে ভক্তি করত শাস্ত্রবাক্য বিচার ও ঈশ্বরধ্যানপূর্বক জানিতে হইবে যে আমি বদ্ধ নহি, আমি বাস্তবিক মুক্ত কেবল ভ্রম প্রযুক্তই আমি আপনাকে বদ্ধ মনে করিতেছি। নতুবা মহাপ্রলয়কাল পর্য্যন্ত জীবকে বদ্ধ থাকিতে হইবে, এবং আপন আপন কৰ্ম্মফলে মহাপ্রলয়কাল পর্য্যন্ত বারম্বার জন্মগ্রহণ, সুখ দুঃখ ভোগ, এবং শরীর পরিত্যাগ করিতে হইবে । মহাপ্রলয়ের কালগণনা পুরাণমতে নিম্নলিখিতরূপে করিতে হয়। যথা, মনুষ্যদিগের এক বৎসরে দেবতাদিগের এক অহোরাত্র। দেবতাদিগের দ্বাদশ সহস্র বর্ষে এক চতুযুগ। চতুযুগ সহস্রে অর্থাৎ এক প্রলয়ের