পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२. সরল বেদান্ত দর্শন । কৈবল্যোপনিষৎ বলিয়াছেন— দেশ কাল বস্তু পরিচ্ছেদ শূন্ত যে পরব্রহ্ম সকলের আত্মা, কোন পদার্থেরই র্যাহা হইতে পৃথক অস্তিত্ব নাই, যিনি এই মায়াময়ী প্রকৃতির অধিষ্ঠান, যিনি সমস্ত মহৎ পদার্থ অপেক্ষ মহত্তর, এবং সমস্ত স্বক্ষ পদার্থ অপেক্ষ স্বল্পতর, যিনি জন্ম বৃদ্ধি মৃত্যু প্রভৃতি বিকারশূন্ত, তিনিই মারাদ্বারা জীবাত্মাভাবে প্রকাশিত হন । বাস্তবিক জীবাত্মা ও নিগুণ ব্ৰহ্ম অভিন্ন । জাগরণ স্বপ্ন সুষুপ্তি প্রভৃতি কালে যে সমস্ত প্রপঞ্চ প্রকাশ পায় সে সমস্তই ব্ৰহ্ম। রজ্জতে সর্পভ্রমের স্তায় ব্রহ্মকেই জীব অবিদ্যাবশত ঐ সমস্ত প্রপঞ্চভাবে দর্শন করে । বাস্তবিক এক নিরাকার নিৰ্ব্বিকার নিগুণ ব্ৰহ্ম ভিন্ন এই জগতের পৃথক অস্তিত্ব নাই। শাস্ত্র প্রদর্শিত উপায় অবলম্বন পূর্বক সাধক "আমিই ব্ৰহ্ম” এইরূপ জ্ঞানলাভ করিতে সমর্থ হইলে সৰ্ব্ব প্রকার বন্ধ হইতে মুক্ত হন। ব্রহ্মের অপরোক্ষ জ্ঞান হইলে সাধক দেখিতে পান যে জাগরণ স্বপ্ন ও স্বযুপ্তি কালে যাহা কিছু ভোগ্য ভোক্ত ও ভোগভাবে প্রকাশিত হয় সে সমস্তই মায়াময়। স্বপ্নদ্রষ্টা পুরুষ যেমন স্বপ্নকল্পিত জগৎ হইতে পৃথক এবং স্বপ্নকল্পিত জগতের সাক্ষী সেইরূপ মায়াময়ী প্রকৃতির কৰ্ত্ত আত্মা এই সমস্ত মায়াপ্রপঞ্চ হইতে পৃথক এবং এই সমস্ত মায়াপ্রপঞ্চের সাক্ষী। তখন সাধক দেখিতে পান যে আমি চিন্মাত্র কৈবল্যাত্মা সদাশিব ভিন্ন আর কিছুই নহি । তখন সাধক দেখেন যে আমিই নিখিল জগতের স্বষ্টি-স্থিতি-লয়-কারণ, দেশ কাল বস্তু পরিচ্ছেদ শূন্ত, জ্ঞাতৃ জ্ঞেয়াদি বিভেদরহিত অদ্বয় ব্রহ্ম। আমিই মাষ্ট্ৰাদ্ধারা দৃশ্য দর্শক ও দর্শনতাবে প্রকৃতির বিস্তার করি। আমিই এই সমস্ত মায়াপ্রপঞ্চ উপসংহার পূর্বক প্রলয়কালে প্রকৃতিকে অব্যক্ত ভাবে রাখি এৰং মহাপ্রলয় কালে প্রকৃতি আমাতেই বিলীন হয় । আমিই স্বক্ষ হইতে স্বল্পতর ও মহান হইতে মহত্তর। আমিই অনন্ত ভেদবান, বিরাট পুরুষ, আমিই সৰ্ব্বপ্রথম স্বল্প হিরণ্যগর্ভ। আমিই