পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰৈয়োদশ প্রবন্ধ । ዓ> নিত্য শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত অদ্বয় আত্মার উপাসনা করা হয়। তটস্থলক্ষণ উপাসনায় জগৎ মায়াময় বলিয়া অবধারিত হইলেও জগৎ-জ্ঞান একেবারে বিলুপ্ত হয় না কিন্তু ব্রহ্মের উপাসনার উপায়স্বরূপ থাকে। স্বরূপ সল্লিবিষ্ট উপাসনায় মন ও বুদ্ধির গোচর সমস্ত ব্যবহারিক জ্ঞান বিলুপ্ত হয়। কেবল মাত্র নিগুণ আত্মার জ্ঞান বর্তমান থাকে। পঞ্চদশী গ্রন্থেীক্ত নিম্নলিখিত বাদামুবাদ সূক্ষ্মভাবে আলোচনা করিলে নিগুণ আত্মার তত্ত্ব কতক পরিমাণে ধারণা করিতে পারা যায় – “বৌদ্ধতপস্বিগণ মুর্খতাপ্রযুক্ত শ্রতিবাক্য সকল অনাদর পূর্বক কেবল মাত্র অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া বলেন যে আত্মারূপ কোন পদার্থ নাই। র্তাহাদের মতে স্বষ্টির পূৰ্ব্বে কেবল মাত্র শূন্ত ছিল। কিন্তু যে পদার্থের অস্তিত্ব থাকে কেবল তাহার সম্বন্ধেই আছে’ ‘ছিল’ প্রভৃতি পদ প্রয়োগ হয়। যাহা ছিল না তাহ ছিল বলা যুক্তিযুক্ত নহে। যেখানে স্বৰ্য্যালোক আছে সেখানে অন্ধকার নাই, এবং স্বৰ্য্যালোক অন্ধকারময় হইতে পারে না। সেইরূপ যাহা “ছিল না” তাহ “ছিল’ হইতে পারে না এবং যাহা আছে তাহাও শূন্তময় হইতে পারে না। সুতরাং “কিছুই ছিল না” এই অর্থে “শূন্ত ছিল” এইরূপ প্রয়োগ হইতে পারে না। বিশেষতঃ যদি স্বষ্টির পূৰ্ব্বে কিছুই না থাকিত তাহা হইলে এই সমস্ত স্বষ্টি কোথা হইতে আসিত ? সম্পূর্ণ অভাব হইতে কোন প্রকার ভাব পদার্থ হইতে পারে না। যদি স্বষ্টির পূৰ্ব্বে কিছুই না থাকিত তাহ হইলে কখনই স্বষ্টি হইতে পারিত না এবং বর্তমান কালেও কিছুই থাকিত না। বৈদাস্তিকের বলিয়া থাকেন যে মায়াদ্বারা আকাশাদি ও তাহাদের নাম ও রূপ কল্পিত হয় কিন্তু তাহাদের মতে আত্মা বা সদ্বস্তু এই সমস্ত মায়াপ্রপঞ্চের অধিষ্ঠান। বেীদ্ধেরা যদি স্বীকার করেন যে র্তাহাদের শূন্ত ও আকাশাদির দ্যায় সদ্বস্তুতে কল্পিত তাহা হইলে তাহাদিগের সহিত বৈদান্তিকদিগের আর বিশেষ পার্থক্য থাকে না। কিন্তু যদি বেীদ্ধের বলেন যে আত্মা বা সদ্বস্তুও কল্পিত এবং ভ্রমময় তাহা হইলে তাহাদিগকে বলিতে হইবে যে এই কল্পনা এবং ভ্রম কাহার ? নিরধিষ্ঠান কল্পনা বা