পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

byశ్చి जन्नल 6रुक्नोस्रष्ट लश्रृंन । বৃহদারণ্যক ঐতি বলিয়াছেন— রূপ-রস- গন্ধ-স্পর্শশব-বিহীন ভেদ-রহিত চিন্ময় ব্রহ্ম আপন মিগুণ ভাব প্ৰতিখ্যাপন জন্য মায়াদ্বারা রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শশব্দ সম্বলিত জড়জগৎ ভাবে এবং বিজ্ঞান-মন-ইন্দ্রিয়শক্তি সম্পন্ন জীব সমূহ ভাবে বিবর্তিত হইয়াছিলেন। এই বিবর্তনের জন্ত ব্রহ্মের কোন প্রকার পরিবর্তন হয় নাই। অবিদ্যাধীন, বিবিধ-জ্ঞানযুক্ত, নানা ইন্দ্রিয়শক্তিসম্পন্ন, অসংখ্য মন কল্পনা করিয়া তিনি অসংখ্য জীষভাবে বিবৰ্ত্তিত হইয়াছিলেন। বাস্তবিক তিনি রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ, ইঞ্জিয়, মন, ও বিজ্ঞান বর্জিত, এক অদ্বিতীয় চিন্ময় হইলেও জীবগণ অবিদ্যাবশতঃ তাহাকেই অসংখ্য জীবাত্মাভাবে, রূপ প্লস গন্ধ স্পর্শ এবং শব্দযুক্ত অসংখ্য জড় পদার্থ ভাবে, এবং বিজ্ঞান মন ও ইন্দ্রিয়যুক্ত অসংখ্য জীবভাবে অবলোকন করে। অশ্বগণ যেমন সারথিকে আপন গৃহ হইতে নানা স্থানে লইয়া যায় সেইরূপে বিবিধ পদার্থবিবিধ পদার্থের জ্ঞান অসংখ্য মনোবৃত্তি সকলও ইন্দ্রিয়গণ জীবসকলকে আত্ম পদার্থ হইতে নানা অনাত্ম পদার্থে লইয়া যায়। এই ইন্দ্রিয়গণেরও সংখ্যার সীমা নাই। যে জীবের যত প্রকার ইক্রিয় আছে সেই জীব নিগুৰ্ণ আত্মাকে তত প্রকার ইন্দ্রিয়গোচর পদার্থ ভাবে সন্দর্শন করে। যাহার কেবলমাত্র কর্ণ আছে, অন্য ইন্দ্রিয় নাই সে নিগুণ আত্মাকে কেবলমাত্র শৰময় ভাবে শ্রবণ করে। যাহার কেবলমাত্র চক্ষু আছে অন্য ইক্রিয় নাই লে নিগুণ আত্মাকে কেবলমাত্র রূপময় ভাবে দর্শন করে। যাহার কেবল মাত্র স্ত্রাণ শক্তি আছে সে নিগুণ আত্মাকে কেবলমাত্র গন্ধময় ভাবে আত্রাণ করে। বাহার কেবলমাত্র চক্ষু কৰ্ণ ও নাসিকা আছে সেনিগুণ আত্মাকে রূপ শব ও গন্ধযুক্ত ভাবে সন্দর্শন করে। যাহার চক্ষু কৰ্ণ নাসিক জিহা । ও বহু আছে সে নিগুণ আত্মাকে রূপ শব্দ গন্ধ রস এবং স্পর্শ গুণযুক্ত ভাৰে সন্দর্শন করে। যে জীবের আরও অধিক ইক্রিয় আছে সে আত্মাকে আরও অধিক গুণযুক্ত ভাবে দর্শন করে। যে জীবকে ঈশ্বর অসংখ্য ইস্ক্রিয়যুক্ত করিয়াছেন সে জীব নিগুণ আত্মাকে অসংখ্য গুণযুক্ত ভাবে অবলোকন করে। সেইরূপ যে জীবকে ঈশ্বর মত প্রকার বিজ্ঞান ও