পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ প্রবন্ধ । ህብፃ মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্রে লিখিত আছে— এই মায়াময় জগতের কারণ যে সদ্বস্তু ভাহা তুমি, তোমাকে প্রণাম। তুমি চিন্ময়, আপন মায়াপ্রভাবে বিশ্বরূপে প্রতিভাত হইতেছ, তোমাকে প্ৰণাম। তোমা ভিন্ন আর কোন পদার্থেরই অস্তিত্ব নাই, তুমি একমেবাদ্বিতীয়ং, কেবল তোমার প্রসাদেই লোক মুক্তি পাইতে পারে, তোমাকে প্ৰণাম। তুমি সত্ত্বরজস্তমোগুণাতীত সৰ্ব্বব্যাপী ব্রহ্ম, তোমাকে প্রণাম। এই মায়াময় সমস্ত জগতের আত্মা তুমি, তোমাকে প্রণাম । এই জগতের তুমিই প্রতিষ্ঠা ও পালয়িত্রী, তোমাকে প্রণাম। এই জগতের তুমিই আদি, তুমিই অস্ত, তোমাকে প্রণাম। এই জগতের তুমিই স্বষ্টিকত্রী, তুমিই সংহারকত্রী, তোমাকে প্রণাম। এই তটস্থ লক্ষণ ব্রহ্মের উপাসনাতেও সেই অচিন্ত্য অব্যক্ত নিরাকার নিৰ্ব্বিকার আত্মাকে মনে ধারণ করিতে হয়, সেই জন্য এই উপাসনাও অতি কঠিন। নিরাকার নিগুণ আত্মাকে অনেকে ভাবিতে পারেন না আবার অনেকে এই নিগুণ উপাসনা আয়ত্ত করিতে সমর্থ হইলেও ইহাতে আনন্দ অনুভব করেন না এবং নীরস বলিয়া এই উপাসনা পরিত্যাগ করেন। সৰ্ব্বদিগদশী শাস্ত্র তাহাদের জন্ত সগুণ ও সাকার ঈশ্বরের উপাসনার ব্যবস্থা করিয়াছেন। সগুণ ও সাকার ঈশ্বরের উপাসনা করত উক্ত ভক্তগণ পরম আনন্দ উপভোগানস্তর ব্রহ্মের তটস্থ লক্ষণ ও স্বরূপসন্নিবিষ্ট উপাসনার অধিকারী হইয়া ক্রমশঃ মুক্তিলাভ করেন। -球2