পাতা:সরোজিনী নাটক.djvu/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



১৫৪
সরোজিনী নাটক।

লক্ষ্মণ। (স্বগত) না জানি, আবার কোন অভাগিনীর কপালে বিধাতা মৃত্যু লিখেছেন।

(রোষেনারাকে লইয়া সৈনিকের পূনঃ-প্রবেশ।)

সৈনিক। মহাশয়! আমি এই মন্দিরের বাহিরে বেরিয়েই এই যুবতীকে দেখতে পেলেম।

ভৈরব। (স্বগত) এ কি! এই স্ত্রীলোকটীর সঙ্গেই না আমাদের সে দিন পথে দেখা হয়েছিল? আহা! ওর মুখ খানি দেখলে বড় মায়া হয়। আমার কল্পনাই হোক, আর যাই হোক, এর মুখে যেন আমার সেই কন্যার একটু একটু আদল আসে। কিন্তু এ কল্পনা ভিন্ন আর কিছুই হতে পারে না, কারণ তার এখানে আসবার তে কোন সম্ভাবনা নাই।

রোষেনারা। (স্বগত) হায়! অবশেষে আমাকেই কি ম’রতে হ’ল?—হ্যা, আমার পক্ষে মরণই ভাল। আমার আর যন্ত্রণা সহ্য হয় না। বিজয়সিংহ তো আমার কখনই হবে না। (ভৈরবচার্য্যের প্রতি) পুরোহিত মহাশয়! আর কেন বিলম্ব ক'চ্চেন, এখনি আমার প্রাণবধ করুন। কেবল আপনার নিকট একটা আমার প্রার্থনা আছে। এই অস্তিম কালের প্রার্থনাটি অগ্রাহ্য করবেন না। পুরোহিত মহাশয়! আমি চির-দুঃখিনী, আমি অনাথ জন্মাবধি আমি জানিনে যে, আমার মা বাপ কে; সূতিকা-গৃহেই আমার মার মৃত্যু হয়; আমার বাপ সেই অবধি নিরুদ্দেশ হয়েছেন। শুনতে পাই,