পাতা:সহমরণ বিষয় প্রবর্ত্তক ও নিবর্ত্তকের সম্বাদ.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনোরূপে বারণ হইতে পারে না। অধৰ্ম্মকে ধৰ্ম্মরূপে সংস্থাপন করিতে প্ৰবৃত্ত । হইলে পণ্ডিত লোকেরও এ পৰ্য্যন্ত অনবধানতা হয়, যে জ্বলন্ত অগ্নির মধ্যে রক্ষা থাকিয়া দগ্ধ হয় না, এবং অন্তকে অগ্নি হইতে ইতস্তত পতনে নিবারণ করে, এরূপ । বাক্য লোকের বিশ্বাসের নিমিত্ত লিখেন, অতএব বিজ্ঞ লোকে বিবেচনা করিবেন, যে রজ্জ্ব দিয়া বন্ধন করিবার হেতু যাহা আপনি লিখিয়াছেন, তাহা যথাৰ্থ বটে, কি ? না ? সংসারেও সকল লোক এককালে নেত্ৰহীন হয় নাই, অতএব স্ত্রীদাহকালে । যাইয়া দেখিলেই বিধবার বন্ধনের যে কারণ আপনি কহিয়াছেন তাহা সত্য কি মিথ্যা। ইহা অনায়াসে জানিতে পারিবেন ; আর আপনকার অনুগত বিষয়ীরদিগের মধ্যে যাহার কিঞ্চিৎও সত্যতে শ্ৰদ্ধা আছে, তাহারা এরূপ হেতু শুনিয়া কিরূপ শ্ৰদ্ধান্বিত হইবেন, তাহা কিঞ্চিৎ বিবেচনা করিলে কোন আপনকার বিদিত। না হইবেক ? আপস্তম্বের বচন যাহা প্ৰমাণ নিমিত্ত আমারদের লেখা উচিত ছিল, তাহা আপনি লিখিয়াছেন, যেহেতু সে বচনের দ্বারা ইহা সিদ্ধ হইতেছে, যে নিষিদ্ধ কৰ্ম্মের। প্ৰবৰ্ত্তক ও অনুমতিকৰ্ত্তা এবং কৰ্ত্ত নরকে যায়, সুতরাং সর্বপ্রকারে অবৈধ ও অতি নিষিদ্ধ, জ্ঞানপূর্বক বন্ধন করিয়া যে স্ত্রীহাদ তাহার। প্ৰবৰ্ত্তক ও অনুমতিকৰ্ত্তা ও কৰ্ত্তা ঐ বচনের বিষয় অবশ্য হইলেন, দেশাচার ছিল হয়। কিম্বা বন্ধন করিলে শরীরের খণ্ড ইতস্তত পড়িবেক না, এরূপ বাক্যকৌশলে, পরলোকশাসন হইতে নিস্কৃতি হইতে পারিবে না। : . আর ২৬ পৃষ্ঠা অবধি লিখেন, যে অল্প জ্বলন্ত চিতাগ্নিদাহকেরা कांईांत्रेि चांद्व ঐ স্ত্রীর অনুমতিক্রমে চিতাকে প্ৰজ্বলিত করে, তাহারদের , পুণ্যই হয়, যেহেতুক বেতন গ্ৰহণ না করিয়া পরের পুণ্য কাৰ্য্যের আনুকূল্য যে করে, তাহার অতিশয় পুণ্য হয়, এবং মৎস্যপুরাপীয় স্বর্ণকারের ইতিহাস লিখিয়াছেন, যে পুণ্য কৰ্ম্মের। আনুকূল্য দ্বারা অতিশয় ফল পাইয়াছে। ইহার উত্তর। এই প্রকরণের পূর্বপরিচ্ছেদে লেখা গিয়াছে, অর্থাৎ যদি জ্ঞানপূর্বক বন্ধন করিয়া বৃহৎ বঁাশ দিয়া দুপিয়া শ্ৰীবধ করা পুণ্য কৰ্ম্ম হইত, তবে আনুকূল্যকৰ্ত্তারদের পুণ্য হইবার সম্ভাবনা ৷ * ছিল। কিন্তু ইহা অত্যন্ত নিষিদ্ধ দারুণ পাতক, অতএব ইহার প্রযোজকেরা । ঐীবধের প্রতিফল অবশ্যই পাইবেক । শেষ পরিচ্ছেদে আছোপান্তের শিষ্টব্যবহারের * প্ৰদৰ্শন তিন বচনের দ্বারা দিয়াছেন ; প্রথমত এক কপোতিক স্বামীর সহিত ।