এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

苯9 [সাধন-পথ যে সকল সমাদর ও গৌরবস্নেহাদি অভিব্যক্তি করেন, উহা শুদ্ধ ভক্তের অমানি স্বভাবের প্রকাশকমাত্র। শুদ্ধভক্ত তাদৃশ গৌরবাত্মক প্রতিষ্ঠাকে জড়প্রতিষ্ঠা না জানিয়া মূর্থের কটাক্ষা সহ্য করিয়াও নিজ সহনশীলতার পরিচয় দেন। নামোচ্চারণকারী শুদ্ধভক্ত। আপনাকে প্ৰাকৃত জগতে সর্বপ্ৰাণিপদদলিত-তৃণ হইতেও নিম্নভাগে অবস্থিত ধারণা করেন। শুদ্ধ ভক্ত আপনাকে কখনই বৈষ্ণব ( বা গুরুজ্ঞান করেন না, তিনি আপনাকে জগতের শিস্য ও সর্বাপেক্ষা হীন জানেন। প্ৰত্যেক পরমাণু এবং প্রত্যেক অণুচিৎ জীব কৃষ্ণের অধিষ্ঠান জানিয়া কোন বস্তুকে নিজাপেক্ষা ও ক্ষুদ্র জ্ঞান করেন না। নামোচ্চারণকারী জগতে কাহারও নিকট কিছুরই প্রার্থী নহেন। অপরে তাহার হিংসা করিলে তিনি কখনও প্ৰতিহিংসা করেন না, উপরন্তু হিংসাকারীর মঙ্গল প্রার্থনা করেন ৷ কীৰ্ত্তনকারী কখনও শ্ৰীগুরুদেব-প্রাপ্তািট প্রণালী পরিহারঃ পূর্বক নবীন মত প্রচার বাসনায় মহামন্ত্রক শ্ৰীহরিনামের পরিবৰ্ত্তে কাল্পনিক নাম লইয়া ছাড়া স্মৃষ্টি করেন না। শ্ৰীগুরুদেবের অনুগমনে’, শ্ৰীনামের মহিমা-কীৰ্ত্তনাদি সম্প্রচারমুখে গ্ৰন্থরচনা ও লুকীৰ্ত্তন कद्रिव्या বৈষ্ণবের সুনীচতার ব্যাঘাত হয়ী না : কপটতার উদ্দেশে লোকপ্রতারণার জন্য নিজের সরলতার অভাব্যবশতঃ কপট দৈন্যোক্তি ও ব্যবহার সুনীচতার পরিচায়ক নহে। মহাভাগবতগণ কৃষ্ণনামোচ্চারণকালে স্থাবরাট জঙ্গমের প্রাকৃত ও ভোগ্য মূৰ্ত্তিসমূহ দর্শনের পরিবৰ্ত্তে কৃষ্ণ ও কাষ্ণ“সেবনোমুখ হইয়া জগৎ দর্শন digitized at BRCIndia.com