এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WԵԿ [। সাধন-পথ মধ্যে সকল শ্রেষ্ঠ উত্তমসঙ্গ জানিয়া সেবা করিবেন। শ্ৰীচরিতামৃত, মধ্য ১৬শ পরিচ্ছেদ :-“যাহার দর্শনে মুখে আইসে কৃষ্ণনাম। র্তাহারে জানিহ তুমি বৈষ্ণবপ্রধান। ক্ৰম করি কহে প্ৰভু বৈষ্ণবলক্ষণ। বৈষ্ণব, বৈষ্ণবতর, আর বৈষ্ণবতম।” ২২শ পরিচ্ছেদ :-“শ্রদ্ধাবান জন হয় ভক্তি অধিকারী। উত্তম মধ্যম কনিষ্ঠ শ্ৰদ্ধা অনুসারি ॥ শাস্ত্ৰযুক্তে সুনিপুণ দৃঢ় শ্রদ্ধার্যাের। উত্তম অধিকারী সেই তারিয়ে সংসার ৷” শ্ৰীভাগবতে-“সৰ্বভুতেষু য: পশ্যেস্তগবস্তাবমাত্মনঃ।। ( ভুতানি ভগবতগাত্মন্যেষ ভাগবতোত্তমঃ। (১) মহাভাগবত কৃষ্ণেতর বস্তুর প্রতি কৃষ্ণসম্বন্ধ দর্শন করিয়া সমাদৃক। তিনি মধ্যমাধিকারীর ন্যায় কৃষ্ণভজনপরায়ণ * এবং কনিষ্ঠাধিকারীর ন্যায় একমাত্র নামপরায়ণ। (২) মধ্যমাধিকারী: কৃষ্ণে প্ৰেম, ত্ৰিবিধ ভক্তে শুশ্রীষা, প্ৰণতি ও মানসিক আদৱবিশিষ্ট; বদ্ধজীবকে কৃষ্ণোন্মুখ করিবার জন্য সচেষ্ট ও কৃষ্ণদ্বেষীর উপেক্ষা-পরায়ণ, সুতরাং মহাভাগবতের ন্যায় বস্তুমাত্রেরই বাহ্যাভ্যন্তরে সমাদৃষ্টিপর নহেন। কল্পনা করিয়া যদি তিনি। মহাভাগবতের আচরণ অনুকরণ করেন, তাহাতে তাহার কপটতা বৃদ্ধি হইয়া অধোশ্চ্যুতির সম্ভাবনা । (৩) কনিষ্ঠাধিকারী কৃষ্ণনামে অখিল মঙ্গল হয় জানিয়া নিজের মঙ্গল বিধান করেন। কিন্তু মধ্যমাধিকারীর আঁসন যে উচ্চ এবং তাঁহাই যে তাহার ভাবী"প্রাপ্যাধিকার, তদ্বিষয় সম্যক উপলব্ধি করেন। না । মধ্যম ভাগবত কনিষ্ঠ ভাগবতের ন্যায় একমাত্ৰ নামপরায়ণ । তিনি নিরন্তরীকৃষ্ণনাম করিয়া’ অপ্রাকৃত ভজন করিবার পরিবর্তে digitized at BRCIndia.com