পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
দারোগার দপ্তর, ১৩৯ সংখ্যা।

আপনি গহনাগুলি আমার সহিত লইয়া আসুন, আমার স্বামীকে দেখাইয়া ইহার মূল্য লইয়া আসিবেন।

 উহার কথায় আমার অবিশ্বাস করিবার কিছুমাত্র কারণ ছিল না, একে তিনি, যাহার স্ত্রী বলিয়া পরিচয় প্রদান করিতেছেন, তিনি আমার উত্তমরূপ পরিচিত-তাহার উপর নিয়মিত লাভের উপর দুই সহস্রমুদ্রা অধিক লাভের প্রলোভন ছাড়িয়া দেওয়া ব্যবসায়ীর পক্ষে অসম্ভব। সুতরাং ঐ সকল অলঙ্কার তাহার স্বামীর নিকট পাঠাইয়া দিতে প্রস্তুত হইলাম। আমার দোকানের বিশেষ বিশ্বাসী ও সর্ব্বপ্রধান কর্মচারী যিনি ছিলেন, তাঁহাকেই ঐ অলঙ্কারগুলি লইয়া তাহার সহিত পাঠাইয়া দিলাম। গাড়ীতে উঠিবার সময় আমার কর্মচারী একটু ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন। কারণ, ব্রুহাম গাড়ীতে কেবল একপার্শ্বে ভিন্ন বসিবার স্থান নাই, সেইস্থানে ঐ স্ত্রীলোকটা উপবেশন করিবেন, সুতরাং তাঁহার পার্শ্বে তিনি কিরূপে বসেন, এইরূপ একটু ইতস্ততঃ করিয়া ঐ কর্মচারী আমার দ্বারবানকে একখানি গাড়ী আনিতে কহিলেন। ইহা শুনিয়া ঐ স্ত্রীলোকটী কহিলেন, আর গাড়ী আনিবার প্রয়োজন নাই। আমার গাড়ীতেই আইস, আমার পার্শ্বে বসিয়া গমন করিলে, তাহাতে আমি অবমাননা বোধ করিব না। উহার কথা শুনিয়া আমার কর্মচারী কি একটু ভাবিলেন ও পরিশেষে তাঁহার প্রস্তাবে সম্মত হইয়া ঐ গাড়ীতেই আরোহণ করিয়া, তাঁহার পাণে উপবেশন করিয়া গমন করিলেন। বলা বাল্য, অলঙ্কারগুলি তাঁহার সঙ্গে রহিল।

 একঘণ্টার মধ্যে তাহার অগমন করিবার কথা ছিল, কিন্তু ক্রমে দুই ঘণ্টাকাল অতিবাহিত হইয়া গেল, তিনি প্রত্যা-