গমন করিলেন না বা কোনরূপ সংবাদও প্রদান করিলেন না। সুতরাং আমার মনটা একটু ব্যস্ত হইয়া পড়িল। বাসায় যাইবার নিমিত্ত আমার গাড়ী প্রস্তুত ছিল, ঐ গাড়ীতে আরোহণ করিয়া আমি সেই কৌন্সলি সাহেবের বাড়ীতে গমন করিলাম। তাঁহার সহিত সাক্ষাৎও হইল, কিন্তু তাহার নিকট জানিতে পারিলাম যে, তাহার স্ত্রী এখন কলিকাতায় নাই, তিনি এখন দার্জিলিংয়ে আছেন ও অপর কোন স্ত্রীলোককে তিনি কোন অলঙ্কারাদি খরিদ করিবার নিমিত্ত কোন স্থানে প্রেরণ করেন নাই, ও ঐরূপের কোন স্ত্রীলোককে তিনি জানেন না, অথবা অলঙ্কারাদি লইয়া কেহ তাঁহার বাড়ীতে আগমনও করে নাই।
কৌন্সলি সাহেবের কথা শ্রবণ করিয়া আমার বুদ্ধি লোপ পাইয়া গেল, কিছুক্ষণের নিমিত্ত আমি হিতাহিতজ্ঞান-বিবর্জিত হইয়া পড়িলাম। সেই সময় কি করা কর্তব্য, “তাহার কিছুই স্থির করিতে না পারিয়া, আমি আমার দোকানে ফিরিয়া আসিলাম। দোকানের অপরাপর কর্মচারীগণের সহিত পরামর্শ করিয়া ইহাই স্থির হইল যে, আর কালবিলম্ব না করিয়া থানায় গিয়া এই সংবাদ প্রদান করা হউক। ঐ সংবাদ লইয়া থানায় যে লোক গমন করিতেছিল, আপনি তাহাকেই ধৃত করিয়া এখানে আনিয়াছেন।
আমি। তাহা হইলে এখনও থানায় সংবাদ দেওয়া হয় নাই?
জহরি। না।
আমি। শীঘ্র সংবাদ পাঠাইয়া দিন।
আবার কথা শুনিয়া সেই ব্যক্তি থানায় সংবাদ দিতে দ্রুতপদে গমন করিল।