পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
দারােগার দপ্তর, ১৩৯ সংখ্যা।

 ইংরাজ-কর্ম্মচারীর কথা শুনিয়া আমি কহিলাম, “আমার মতে ইহা দেনা পাওনার মোকদ্দমা নহে; সেই ভদ্র স্ত্রীলোকটী যে বঞ্চনার অপরাধ করিয়াছেন, তাহাতে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। তাহার উপর যে ব্যক্তি ঐ অলঙ্কার বহন করিয়া লইয়া গিয়াছে, তাহারও আর কোন সন্ধান পাওয়া যাইতেছে না। পরিশেষে যদি তাহার মৃতদেহ পাওয়া যায়, তাহা হইলেও কি দেওয়ানি আদালতে ঐ মোকদ্দমা চলিবে?”।

 ইংরাজ কর্ম্মচারী। তাহাকে যদি জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়? যাহা হউক, যখন আমরা এখানে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি, তখন ইহার অনুসন্ধান হউক। আমার সহিত যে সকল কর্ম্মচারী আসিয়াছে, তাহারা রহিল, আপনিও আছেন। যে যে অনুসন্ধান করার প্রয়োজন বিবেচনা করেন, তাহা আপনারা করুন, আমি এখন চলিলাম। আমার হস্তে আরও কতক গুলি বিশেষ কার্য্য আছে।

 এই বলিয়া ইংরাজ-কর্ম্মচারী সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিলেন। তাঁহার সহিত যে কয়েকজন কর্ম্মচারী আসিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে একজন পশ্চিম দেশবাসী বহু পুরাতন কর্ম্মচারী ছিলেন; কলিকাতা সহরের অনেক অবস্থা তিনি উত্তমরূপে জানিতেন। তাঁহার উর্দ্ধতন ইংরাজ কর্ম্মচারী সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিলে তিনি কহিলেন, “উহার গতিকই ঐরূপ, মামলা মোকদ্দমা উনি ঐরূপ ভাবেই অনুসন্ধান করিয়া থাকেন, আর অনুসন্ধানের উনি জানেনই বা কি? উনি উপস্থিত থাকিলে কার্য্য আরও নষ্ট হইত, প্রস্থান করিয়াছেন ভালই হইয়াছে। এখন কোন পন্থা অবলম্বন করিয়া এই মোক-