পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ।


 সেই আঘাত প্রাপ্ত লােকটীর নিকট হইতে যাহা অবগত হইলাম, তাহাতে বেশ অনুমান হইল যে, এই মােকদ্দমা কিনারা হইবার কোনরূপ উপায়ই নাই। কাহার দ্বারা তিনি আঘাতিত হইয়াছেন, কাহার দ্বারা তাঁহার অলঙ্কারগুলি অপহৃত হইয়াছে, তাহার কিছুই তিনি বলিতে পারেন না। কেবলমাত্র সেই স্ত্রীলােকটীকে তিনি দেখিলে চিনিতে পারিবেন সত্য, কিন্তু যদি তাহাকে পাওয়া যায়, তাহা হইলেই বা এই মােকদ্দমা তাহার উপায় কি প্রকারে প্রমাণ করিতে সমর্থ হইব? তিনি অলঙ্কারগুলির সহিত উহাকে তাঁহার গাড়ীতে করিয়া আনিয়াছেন সত্য, কিন্তু অলঙ্কারগুলি তাঁহার নিকট হইতে না লইয়াই তিনি উহাকে তাঁহার, গাড়ী হইতে নামাইয়া দিয়া চলিয়া গিয়াছেন; এবং যদি তাঁহার নিকট অলঙ্কারগুলি প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহা হইলেই যদি তাঁহার দণ্ড হয়, নতুবা তাঁহাকে দণ্ডিত করা নিতান্ত সহজ হইবে না। সে যাহা হউক, এখন দুইটা বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখিয়া আমাদিগকে এই মােকদ্দমার অনুসন্ধান করিতে হইবে। প্রথম সেই স্ত্রীলােকটী কে, ও দ্বিতীয় অলঙ্কারগুলি কোথায় গেল।

 মনে মনে এইরূপ স্থির করিয়া সর্ব্বপ্রথমেই আমার মনে যে সন্দেহ আসিয়া উদিত হইয়াছিল, সেই সন্দেহের উপর নির্ভর করিয়া সুশীলার অনুসন্ধানে নিযুক্ত হইলাম। যে কর্ম্মচারীকে তাহার অনুসন্ধানের নিমিত্ত ইতিপূর্ব্বে চন্দননগরে প্রেরণ করিয়া-