পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাবাইস বুদ্ধি।
৩৫

অথচ যে পর্যন্ত উহাকে দেখিতে পাওয়া না যায়, সেই পর্যন্তই বা কিরূপে বলিতে পারি যে, এই মেমসাহেবের দ্বারা ঐ কার্য্য সম্পন্ন হইয়াছে। তাহাকে দেখিয়া ঐ জহুরি বা তাঁহার কর্ম্মচারীগণ যদি চিনিতে পারে, তাহার পর তাহাদিগের সাক্ষ্য দ্বারা উহার নামে ওয়ারেণ্ট বাহির হইতে পারে। কিন্তু এত সময় পাইলে তাঁহার নিকট কি কোনরূপে অপহৃত দ্রব্য বা নগদ অর্থ প্রাপ্ত হইবার সম্ভাবনা থাকে, কখনই নহে। মনে মনে এইরূপ নানাপ্রকার ভাবিয়া যাহাতে তাহাকে চন্দননগরের বাহিরে ইংরাজ, রাজত্বের মধ্যে ধৃত করিতে পারি, তাহারই উপায় চিন্তা করিতে লাগিলাম। পশ্চিম হইতে বা কলিকাতা হইতে রেলগাড়ীতে আসিতে হইলে চন্দননগর রেলওয়ে ষ্টেশনে গাড়ী হইতে অবতরণ করিতে হয়, ইহা সকলেই অবগত আছেন। আরও বোধ হয়, সকলেই অবগত আছেন যে, ঐ চন্দননগর রেলওয়ে ষ্টেশন ইংরাজ রাজত্বের অনুভূতি। সুতরাং ইহাই স্থির করিলাম যে, তাঁহাকে যদি ধরিবার প্রয়োজন হয়, তাহা হইলে রেলওয়ে ষ্টেশনের মধ্যে তাহাকে ধরিতে পারিলেই চন্দননগরের ভিতর ধৃত করিবার গোলযোগ হইতে নিষ্কৃতি লাভ করা যাইতে পারে। মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া সেই স্ত্রীলোকটীকে যাহারা সেই জহুরির দোকানে দেখিয়াছিল, তাহাদিগের একজনকে সঙ্গে লইয়া ঐ রেলওয়ে ষ্টেশনে অবস্থিতি করিতে লাগিলাম। উভয়দিক হইতে যে সকল গাড়ী থামিতে লাগিল, তাহা দেখিতে লাগিলাম। দেখিতে লাগিলাম যে, ঐ সকল গাড়ী হইতে পূর্ব্বকথিত মেমসাহেব ঐ স্থানে অবতরণ করেন কি না?

 এইরূপে দুইদিবসকাল ঐ চন্দননগর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থিতি