পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাবাইস বুদ্ধি।
৪১

করিলাম। উহার মধ্যে প্রায় তিন সহস্র টাকার ১০ টাকা হিসাবের নোট ও একখানি গহনা পাওয়া গেল। সেই জহুরির দোকানের যে কর্ম্মচারী আমার নিকট ছিল, ঐ গহনাখানি দেখিবামাত্রই সে কহিল, ইনি যে সকল গহনা লইয়া গিয়াছিলেন, এই গহনাখানি তাহারই একখানি। এরূপ অবস্থায় তাহার উপর আর কোনরূপ সন্দেহ থাকিল না, প্রথমেই যে ট্রেণ পাইল, সেই ট্রেণেই উহাকে লইয়া কলিকাতায় গমন করিলাম।


সপ্তম পরিচ্ছেদ।

 যে জহুরির দোকান হইতে তিনি অলঙ্কার গুলি লইয়া গিয়াছিলেন, প্রথমেই তাহাকে সেই দোকানে লইয়া গেলন। জুহুরি নিজে ও তাঁহার দোকানের কর্ম্মচারীগণের মধ্যে যে যে ব্যক্তি সেই স্ত্রীলোককে দেখিয়াছিল, তাহারা সকলেই একবাক্যে কহিল যে, ঐ স্ত্রীলোকটাই কোন সন্ত্রস্ত কৌন্সিলের বনিতা পরিচয়ে ঐ দোকান হইতে অলঙ্কার গুলি লইয়া গিয়াছিল, তাহার নিকট যে একখানি অলঙ্কার পাওয়া গিয়াছিল, তাহা দেখিয়া সকলেই উহা চিনিতে পারিল ও একবাক্যে কহিল, যে সমস্ত অলঙ্কার সে লইয়া গিয়াছিল, ঐ অলঙ্কারখানিও তাহারই মধ্যস্থিত একখানি। ঐ দোকানের প্রধান কর্ম্মচারী যিনি ইহার সহিত ব্রহেম গাড়ীতে আরোহণ করিয়া অলঙ্কার সহ গমন করিয়াছিলেন, তিনি ও উহাকে দেখিবামাত্র চিনিতে পারিলে, ও উহার নিকট প্রাপ্ত অলঙ্করখানিও চিনিতে পারিলেন এবং