পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারোগার দপ্তর, ১৩৯ সংখ্যা।

 এইরূপ অবস্থা দেখিয়া সেই সময় কি করা কর্তব্য, সেইস্থানে দাঁড়াইয়া মনে মনে ইহা ভাবিতেছি, এরূপ সময় হঠাৎ ভিতর হইতে বদ্ধ দরজার একটা খুলিয়া একজন লোক সেই দোকান হইতে বহির্গত হইল। উহাকেই দেখিয়া চোর বিবেচনায় আমি দ্রুতপদে উহার নিকট গমন করিয়া তাহাকে ধরিলাম। হঠাৎ ধৃত হওয়ায় সে অতিশয় বিস্মিত হইল এবং আমাকে কহিল, “কেন মহাশয় আমাকে ধরিতেছেন?”

 উত্তরে আমি কহিলাম, “তুমি কে?” আমার কথা শুনিয়া সে কহিল, “আমি এই দোকানের একজন কর্ম্মচারী, বিশেষ কোন কার্য্য উপলক্ষে আমি বাহিরে যাইতেছি।”

 আমি। আপনি যে এই দোকানের কর্ম্মচারী, তাহা কে জানে?

 কর্ম্মচারী। দোকানের ভিতর আমার মনিব আছেন, তিনিই বলিবেন যে, আমি তাহার দোকানের কর্ম্মচারী কি না?

 আমি। আচ্ছা আসুন, আপনার মনিবের নিকট।

 এই বলিয়া ঐ ব্যক্তিকে সঙ্গে লইয়া আমি ঐ দোকানের ভিতর প্রবেশ করিলাম। দেখিলাম, বাস্তবিকই সেই দোকানের স্বত্বাধিকারী সেই স্থানেই বসিয়া আছেন, তাহার সহিত আরও দুই চারিজন লোক সেইস্থানে বসিয়া আছেন। আমাকে দেখিয়াই তিমি চিনিলেন ও বিশেষ অভ্যর্থনার সহিত আমাকে সেইস্থানে বসাইলেন। তাঁহার লোককে আমি ঐরূপে দোকানের মধ্যে লইয়া যাওয়ার নিমিত্ত আমি বিশেষরূপে লজ্জিত হইলাম। কি সন্দেহের উপয় নির্ভর করিয়া আমি তাঁহাকে ঐরূপে দোকানে লইয়া গিয়াছি, তাহা তাহাকে সমস্ত কহিলাম। তিনি আমার