সাহায্যে শৈশবেই ফার্সী ভাষায় এবং ইস্লামীয় ধর্মশাস্ত্রে অধিকার লাভ করেন, পরবর্তী জীবনে এই চিরকুমারী নারী পিতার সেবা এবং ধর্মচর্চা ও কবিতা-রচনাই জীবনের ব্রতরূপে বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর রচিত ধর্মগ্রন্থগুলির মধ্যে ‘মুনিস্-উলআর্ওয়া’র মধ্যে আজমীরের ফকির মুইন্-উদ্দীন-চিশ্তীর ও তাঁর শিষ্যদের জীবনকাহিনী পাওয়া যায়। জাহান্-আরা বহু প্রাচীন লেখা থেকে সঙ্কলন করে বইটি লিখেছিলেন। তাঁর ভাষা প্রাঞ্জল, অনাবশ্যক বাগাড়ম্বরহীন। জাহানারা উদারপন্থী সূফীমতের সাধিকা ছিলেন। নিজাম উদ্দীন আউলিয়া-সমাধি ভবনের প্রচীরবেষ্টনীর একপাশে তার তৃণাচ্ছাদিত সমাধিশীর্ষে শ্বেত মর্মরফলকে ক্ষোদিত তাঁর নিজের লেখা এই কবিতাটি আজও দর্শকের চোখে অশ্রু প্রবাহিত করে:
‘বঘাএর্ সব্জ্যা ন পোশদ্ সসে মজার্-ই-মরা
কে কব্রপোষ-ই-ঘরিবান্ হামী গিয়া বস্ অস্ত।
আল্-ফকীরা আল্ ফাণীয়া জহান-আরা
মুরীদ্-ই-খ্বাজ্-গাম ই-চিশ্ত বিন্ত্-ই-শাহ্-জহান।’
‘আমার সমাধি তৃণ ভিন্ন কোনো (বহুমূল্য) আবরণে আচ্ছাদিত কোরো না, দীন-আত্মাদের পক্ষে তৃণই শ্রেষ্ঠ সমাধিআবরণ। সাহজাহান-দুহিতা চিশ্তী সাধুদের শিষ্যা বিনশ্বর ফকীরা জাহান-আরা।
আওরংজীবের বড় মেয়ে জেব-উন্নিসা ছিলেন তাঁর সময়ের সুবিখ্যাতা বিদুষী। শৈশবে হাফিজা মরিয়মের কাছে তিনি বিদ্যাশিক্ষা করেন, পিতার কাছে একদিন সমস্ত কোরাণখানা স্মৃতি থেকে আবৃত্তি ক’রে তিনি ত্রিশ হাজার মোহর পুরস্কার