পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৬
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

‘ষট্‌চক্রভে‌দ’ ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দে প্রসন্নময়ী দেবীর ‘নীহারিকা’ কাব্যগ্রন্থ, মানকুমারী বসুর ‘বনবাসিনী’, ১৮৮৮ সালে প্রসন্নময়ী দেবীর ‘আর্যাবর্ত’ নামক ভ্রমণ কাহিনী, প্রফুল্লনলিনী দাসীর “ষষ্ঠীবাঁটা” প্রহসন, ব্রজেন্দ্রমোহিনী দাসীর ‘কবিতামালা’ নামক কবিতা-সংগ্রহ প্রভৃতি কয়েকখানি বই বেরিয়েছিল। ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে কামিনী রায়ের ‘আলো ও ছায়া’ বিনা নামে প্রকাশিত হ’য়ে লেখিকাকে অবিলম্বে যশস্বিনী করে তুলেছিল। তাঁর সম্বন্ধে অন্যত্র আলোচনা করেছি। ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দের অন্যান্য বিখ্যাত বই গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর ‘ভারতকুসুম’ ও ‘অশ্রুকণা’ এবং প্রসন্নময়ী দেবীর, ‘অশোকা’ উপন্যাস, ১৮৯০ (১৮৯৩?) খৃষ্টাব্দে ঐ সময়কার অন্যতম শ্রেষ্ঠা মহিলা কবি মানকুমারী বসুর ‘কাব্যকুসুমাঞ্জলি’ প্রকাশিত হয়। ঐ বৎসরের আর কয়েকখানি উল্লেখযোগ্য বই গিরীন্দ্রমোহিনীর ‘আভাষ’ নামক কাব্যগ্রন্থ, প্রমীলা নাগের ‘প্রমীলা’ কাব্য, ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে বিনয়কুমারী বসুর ‘নির্ঝর’ এবং প্রমীলা নাগের ‘তটিনী’ কাব্যগ্রন্থ, গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর ‘মীরাবাই’ নাটক, স্বর্ণকুমারী দেবীর “স্নেহলতা”। ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে অর্থাৎ বাংলা ১৩০০ সালে মনোমোহিনী গুহের ‘চারুগাথা’ কাব্য এবং বাংলা ১৩০০ সালের মধ্যে লেখা অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বই, শতদলবাসিনী দেবীর ‘বিধবা বঙ্গললনা’, বনপ্রসূন রচয়িত্রীর ‘সফলস্বপ্ন’ উপন্যাস। হিরন্ময়ী দেবী, প্রতিভা দেবী, সরলা দাসী, ইন্দিরা দেবী, অন্নদাসুন্দরী ঘোষ, লাবণ্যপ্রভা বসু, প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী, বিনয়কুমারী বসু প্রভৃতি বহু লেখিকা এই সময় বিভিন্ন মাসিকপত্রে নিয়মিত নানাবিষয়ে কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ লিখছিলেন।