পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
১৩৭

 এ ছাড়া বহু লেখিকা বিশেষতঃ কবিতারচয়িত্রী, বিভিন্ন মাসিক, পাক্ষিক ও সাপ্তাহিকের নিয়মিত লেখিকা ছিলেন, পরবর্তী কালে তাঁরা অনেকেই সাহিত্যক্ষেত্র থেকে একান্ত অকালেই অপসৃতা হয়ে গ্যাছেন।

 মোট কথা, ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এবং শেষের দিকে নারী-বিরচিত সাহিত্যে আমরা আকাশ পাতাল পরিবর্তন দেখতে পাই। স্বর্ণকুমারী দেবীর সমসাময়িক সরোজকুমারী দেবী, অম্বুজাসুন্দরী দাসগুপ্তা, স্বর্ণলতা বসু, “স্নেহলতা” ‘প্রেমলতা’রচয়িত্রী কুসুমকুমারী দেবী প্রভৃতির আবির্ভাব ঘটে। তারপর কিছুদিন নারী লেখিকার সংখ্যা ও শক্তির অপ্রতুলতা দেখা যাওয়ার পর, শতাব্দীর শেষদিকে আবার নারীকে সাহিত্যক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে দেখতে পাওয়া যায়।

 অন্তঃপুর নামক মহিলাদিগের জন্য বিশেষভাবে পরিচালিত মাসিক পত্রের সম্পাদিকা সুমতি-সমিতির প্রতিষ্ঠাত্রী বনলতা দেবীর (১৮৭৯-১৯০০ খৃঃ) কথা এখানে উল্লেখযোগ্য। ঐ পত্রিকাখানিতে শুধু নারী লেখিকাগণের লেখা প্রকাশিত হতো। “বনজ” নামে একখানি পুস্তকও তিনি রচনা করেছিলেন। তাঁর সমসাময়িক আরও দু’জন নারী কবির মধ্যে একজন ইংরাজীতে কবিতা লিখে বিশ্ব-বিশ্রুত হয়েছেন। আর একজন বাংলায় অনুরূপ শক্তির পরিচয় দিয়ে এরই মধ্যে বিস্মৃত হ’তে বসেছেন। শ্রীমতী সরোজিনী নাইডু বঙ্গবালা হলেও বাংলা জানেন না। তাঁর জন্ম নিজামরাজ্যে হায়দ্রাবাদে, শিক্ষা উর্দ্দু এবং ইংরাজীতে। বাল্যকাল থেকে তিনি ইংরাজীতে কবিতা লিখতে আরম্ভ করেন। “ভাঙ্গা পাখা”, ‘সময়ের পাখী’, “স্বর্ণ-দেহলি” প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ

O.P. 92—18