পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪২
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

অঙ্গ হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। দেশে ফিরে সংস্কৃত পড়া আরম্ভ করেন, বোধ হয় ইচ্ছা ছিল এবার স্বদেশী ভাষায় বই লিখবেন। মহাভারত রামায়ণ পুরাণ প্রভৃতি যত্নের সঙ্গে পড়ছিলেন, দুরন্ত কাল অমন জীবন-রত্নটাকে নির্মম হস্তে অকালে হরণ করে নিলে! এঁর ভগ্নী অরু দত্তের নামও ইংরাজী-সাহিত্যে সুপরিচিত।

 ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে বাংলা হিসাবে নূতন শতাব্দী (১৩০১) আরম্ভ হ’ল, এ বৎসরে প্রসন্নময়ী দেবীর ‘নীহারিকা’ ২য় ভাগ একখানি উল্লেখযোগ্য পুস্তক বলা যায়।

 এ ছাড়া ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে সরোজিনী দেবীর ‘সুধাময়ী’ মানকুমারী বসুর প্রবন্ধের বই ‘শুভসাধনা’ ছাপা হয়।

 ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দে সরোজকুমারী গুপ্তার ‘হাসি ও অশ্রু’ এবং রাণী মৃণালিনীর ‘নির্ঝরিণী,’ কবিতার বই, “দুঃখমালা” রচয়িত্রীর লেখা ‘বিরাটনন্দিনী’ নাটক, স্বর্ণকুমারী দেবীর ‘কবিতা ও গান’। এই সময় সরলাদেবী ও হিরন্ময়ী দেবী ভারতীর সম্পাদন-ভার গ্রহণ করেন। হিরন্ময়ী দেবী ভারতীকে বহু কবিতা উপহার প্রদান করেছেন, ছাপাবই সম্ভবতঃ হয়নি।

 ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দে মানকুমারী বসুর ‘কনকাঞ্জলি’, কুন্দকুমারী গুপ্তার ধর্মতত্ত্বের বই ‘প্রেমবিন্দু’।

 ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে অম্বুজাসুন্দরী দাসগুপ্তার ‘প্রীতি ও পূজা’ গিরীন্দ্রমোহিনীর ‘শিখা’। প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবীর সম্পাদনায় ‘পুণ্য’ মাসিক পত্রিকা এই বৎসর বাহির হয়। বনলতাদেবী সম্পাদিত ‘অন্তঃপুর’ পত্রিকাও এই বৎসরে প্রকাশিত হয়।

 ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দে নগেন্দ্রবালা মুস্তফীর ‘প্রেমগাথা', তরঙ্গিণী দাসীর ‘বনফুল হার,’ স্বর্ণকুমারী দেবীর ‘কাহাকে’।