পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৬
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

লেখেন এবং তাঁর চেয়ে প্রতিভাশালিনী লেখিকা আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। ‘ধূপ’ রচয়িত্রী এবং ‘পরিচারিকা’ সম্পাদিকা নিরুপমা দেবীকে এই সময়ে প্রথম দেখা যায়। ইতিমধ্যে প্রকাশিত অন্যান্য যে সব পুস্তক প্রকাশের সময় উল্লেখ করা গেল না, তার মধ্যে প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবীর ‘আমিষ ও নিরামিষ আহার’, কামিনী রায়ের ‘একলব্য’ নাটক, বসন্তকুমারী বসুর ‘উপাসনার গুরুত্ব’, লাবণ্যপ্রভা বসুর ‘পৌরাণিক কাহিনী’, কামিনীসুন্দরী দেবীর ‘গুরুপূজা’, নবীনকালী দেবীর ‘ভগবদ্‌গীতা’ প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থ, লজ্জাবতী বসুর হোমরের ‘ইলিয়ার্ড্‌’, স্বর্ণলতা চৌধুরীর স্কটের ‘মার্ম্মিয়ন’, মৃণালিণী সেনের মেরী করেলির ‘থেলমা’র অনুবাদ, প্রসন্নতারা গুপ্তার “পারিবারিক জীবন”। বিনোদিনী সেন গুপ্তার ‘রমণীর কার্যক্ষেত্র’, নগেন্দ্রবালা সরস্বতীর ‘নারী ধর্ম’, ‘সতী’, নিস্তারিণী দেবীর ‘হিরন্ময়ী’ সরোজকুমারী দেবীর ‘কাহিনী’।

 ১৯১৪ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত নারী রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে অনুরূপা দেবীর ‘বাগদত্তা’, ইন্দিরা দেবীর ‘কেতকী’, চারুহাসিনী দেবীর কবিতার বই ‘অঞ্জলী’ এবং কাঞ্চনমালা দেবীর গল্পের বই ‘গুচ্ছ’ ঐ বৎসরের উল্লেখযোগ্য রচনা। মনোরমা দেবীর “হেমলতা” উপন্যাসখানি সম্ভবতঃ এই বৎসরেই ছাপা হয়েছিল। ইনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের জজ্‌ সার্‌ প্রমদাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ, জাষ্টিস্ ললিতমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নী এবং লাহোর চিফকোর্টের জজ্‌ সার্‌ প্রতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা ছিলেন। অকালমৃত্যু এঁর প্রতিভা পূর্ণ বিকাশের অবসর দেয়নি।

 ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে সুনীতি দেবীর কবিতাবলী ‘সাহানা', হেমন্ত বালা দত্তের কাব্যগ্রন্থ ‘মাধবী’, হরিপ্রভা তাকেদার জীবনীগ্রন্থ