পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
১৪৯

 ১৯২৩ খৃষ্টাব্দে মানকুমারী বসুর কাব্য ‘বিভূতি’, অনুরূপা দেবীর উপন্যাস ‘হারাণো খাতা’, কুমারিল ভট্ট নাটক’, লীলা দেবীর উপন্যাস ‘ধ্রুবা’, উমাশশী কুমারের ‘সাকী’, প্রফুল্লময়ী দেবীর কবিতা সংগ্রহ ‘পুষ্প পরাগ’, শ্রীমতী কামিনী রায়ের ‘ঠাকুমার চিঠি’, রজ্জব উন্নিসার ‘সাহসিকা’ উপন্যাস, নিরুপমা দেবীর ‘আলেয়া’, আন্দাজ এই সময়ে ছাপা হয়। সরসীবালা বসুর ‘আহুতি’, মহারাণী সুনীতি দেবীর ‘ইণ্ডিয়ান ফেয়ারি টেলস্‌’ ইংরাজীতে লেখা।

 ১৯২৪ খৃষ্টাব্দে শৈলবালা সেনের কবিতা পুস্তক ‘রেণুকণা’, সরসীবালা বসুর ‘গ্রহের ফের’, ‘আয়ুষ্মতী’, বিজনবালা করের উপন্যাস ‘নিগৃহীতা’, নিরুপমা দেবীর ‘পরের ছেলে’, কিরণবালা রায়ের ‘জল খাবার’, সুরুচিবালা রায়ের উপন্যাস ‘ঝরাপাতা’, প্রফুল্লময়ী দেবীর গল্প ‘প্রতিমা’, সুবালা দেবীর কবিতার বই ‘ভাব পুষ্প’, ইন্দিরা দেবীর কয়েকটি পরিত্যক্ত ছোট গল্প নিয়ে গ্রথিত ‘শেষ দান’ নামে গল্পের বইটি ছাপা হয়ে বাহির হয়। প্রভাবতী সরস্বতীর ‘বিজিতা’, লীলা দেবীর ‘কিসলয়’ ছাপা হয়ে বাহির হয়।

 এই যুগে ফয়জুন্নেসা খাতুন, মাহমেনা খাতুন, মেহেরুন্নিসা খাতুন, আমিনুন্নিসা বিবি প্রভৃতি মুসলিম নারী বহু স্কুলপাঠ্য বই রচনা করেন। ইন্দিরা দেবী চেীধুরাণীর ‘নারীর উক্তি’, প্রসন্নময়ী দেবীর ‘পূর্ব্বকথা’, কামিনী রায়ের বালিকা শিক্ষার আদর্শ’, কমলাবালা বিশ্বাসের ‘সচিত্র সেলাই শিক্ষা’। এই যুগের অন্যান্য যে সব বইয়ের উল্লেখ করা গেল না তার মধ্যে সরোজিনী দত্তের ‘মাধুরী’, বসন্তকুমারী বসুর ‘জ্ঞান ভক্তি ও কার্যের সামঞ্জস্য’,