পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৪
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

 এই যুগে লীলা দেবীর ‘ঝরার ঝরণা’, হেমলতা দেবীর ‘শ্রীনিবাসের ভিটা’, প্রফুল্লময়ী দেবীর ‘ধাত্রীপান্না’, অনুরূপা দেবীর ‘ভারতবর্ষীয় ব্রহ্মজ্ঞান’, ডাক্তার যামিনী সেনের ‘প্রসূতিতত্ত্ব’, ডাক্তার হিরন্ময়ী সেনের ‘সরল হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা’, সুখলতা রাওয়ের ‘স্বাস্থ্য’, প্রবোধশশী দেবীর ‘সহজবুনন শিক্ষা’, উমা দেবীর ‘সনাতন পাক প্রণালী’, ননী রায়ের ‘অভিনব ভূগোল’।

 উপন্যাসের ক্ষেত্রে অনুরূপা দেবী, নিরুপমা দেবী, শৈলবালা ঘোষজায়া, কাঞ্চন মালা, ইন্দিরা দেবীর অল্প পরবর্ত্তী কালে প্রভাবতী দেবী, আমোদিনী ঘোষ, আশালতা সিংহ, আশালতা দেবী প্রভৃতি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন।

 ছোট গল্পের ও উপন্যাসের ক্ষেত্রে সীতা দেবী শান্তা দেবীর শক্তি নিতান্ত সামান্য নয়, দুই ভগ্নীর সাহিত্যিক দান ও প্রচুরতর।

 “অন্তঃপুর” ‘পরিচারিকা’, ‘ভারত মহিলা’, ‘সাহিত্য মহিলা, প্রভৃতি অনেকগুলি মাসিক পত্রিকা উঠে গেলেও লীলা নাগ এবং তাঁর পর শকুন্তলা দেবী প্রভৃতি সম্পাদিত “জয়শ্রী” এবং হেমলতা দেবী সম্পাদিত ‘বঙ্গলক্ষ্মী’ এ সময়ে বেশ খ্যাতি লাভ করেছিল।

 ইতিমধ্যে প্রকাশিত যে সব বইয়ের সময় দেওয়া গেল না, মধ্যে হেমাঙ্গিনী দস্তিদারের ‘গৃহিণীর হিতোপদেশ’, ভক্তিলতা ঘোষর ছেলেদের উপযোগী ক’রে লেখা ‘দেবীচৌধুরাণী’, ‘দুর্গেশনন্দিনী’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। প্রতিভাশালিনী কবি ‘বাতায়ন’ লেখিকা উমাদেবীর অকালমৃত্যুতে