পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী
১৬৩

“ঘর ছেড়ে যারা বাহিরের পথে অসময়ে চলে গেছে,
ভালবেসে তারা নিশিদিন ফিরে কাছে হতে আরও কাছে।

 ইহলোকের সঙ্গে “পরলোকের” আর যেন “অজানা রহস্য” নেই! উভয় জগতের অর্ধবাসী পরস্পরের মিলন-সূত্র হাতে নিয়ে যেন একান্ত কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে; তাই লেখিকা পরম আশ্বস্ত চিত্তে বলতে পেরেছেন;—

“যারা কাছে আর যারা দূরে আছে জনে জনে দিনু সঁপি।”

 পূর্বেই বলেছি বর্ত্তমানযুগের লেখিকাদের মধ্যে অনেকেরই পুস্তক প্রকাশের তিথি-তারিখ জানা না থাকায় তাঁদের লেখা অনেক পুস্তকের পরিচয় যথাস্থানে হয়ত দেওয়া হয় নি, যাঁদের পুস্তক সংখ্যা বেশী তাঁদের ক’জনের মাত্র লিখিত পুস্তকের (১৯৪৫-৪৬) একটী করে তালিকা দিচ্ছি;—শ্রীমতী শান্তা দেবী ও সীতা দেবীর একত্রে “উদ্যানলতা” উপন্যাস, ‘‘নিরেট গুরুর কাহিনী”,“হুক্ক হুয়া”,‘সাত রাজার ধন’। এই “উদ্যানলতা” সেদিনে সাহিত্য-কাননে একটা নূতনত্বের সমাবেশ করেছিল। তারপর তাঁরা তাঁদের ধরণে বহু গল্প উপন্যাস বঙ্গ-সাহিত্যকে দান করেছেন এবং বলা বাহুল্য এ দান বাংলা সাহিত্য সম্পূর্ণ কৃতজ্ঞতার সঙ্গেই গ্রহণ করেছে।

 শ্রীমতী শান্তাদেবীর ‘‘উষসী”, “স্মৃতির সৌরভ”, “শোক ও সান্ত্বনা”, “চিরন্তনা”, “সিঁথির সিঁদুর”, “বধূবরণ”, “অলখনিরঞ্জন”, “দুহিতা”, “পথের দেখা', “রামানন্দ ও অর্দ্ধ শতাব্দীর বাংলা”, শ্রীমতী সীতা দেবী লিখিত পুস্তকাবলী “বন্যা”, মাতৃঋণ”, পরভৃতিকা”, “তিনটী গল্প”, “পূণ্যস্মৃতি”, “জন্মসত্ত্ব”, “আজবদেশ”, “ছায়াবীথি”, “বজ্রমণি”, “সোনার খাঁচা”, “সাত রাজার ধন”,