মুক্তা বাইয়ের বহু অভঙ্গ আজও মহারাষ্ট্র দেশে প্রচলিত, সাত শ’ বছরেও সেগুলির জনপ্রিয়তা কমে নি। তাঁর পরবর্তী জনাবাই খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে জন্মেছিলেন এক দরিদ্রগৃহে; ভক্ত নামদেবের কাছে তিনি স্বেচ্ছায় দাসীত্ব স্বীকার করেন তাঁর ভক্তি-সাধনার স্পর্শ পেয়ে ধন্য হ'বার জন্য। জনাবাই পণ্ডিতা ছিলেন না, সারাদিন গৃহকার্যে এবং দেবপূজায় কাটিয়ে তিনি যে কবিতাগুলি রচনা ক'রে গেছেন, তার মধ্যে গভীর ভাবদ্যোতক বহু কবিতা আছে, একটি নমুনা দিলাম:
‘দেবতা খাই, দেবতা করি পান,
দেবতা মোর শয়ন উপাধান;
যা কিছু দিই, যা কিছু লই, কিছুই নহে দেবতা বই,
দিবস রাতি স্বজনসাথী আমার ভগবান।
এখানে তাঁরে সেখানে তাঁরে পাই,
দেবতাহীন নাইকো কোনো ঠাঁই।
ভরি ভুবন পাত্রখানি, তাঁহারে আমি রেখেছি আনি,
আমার মিঠা দেবতা ‘বিঠা’[১] কোথায় তিনি নাই!’
বর্তমান যুগের মারাঠী লেখিকাদের মধ্যে শ্রীধর রাণাডের পত্নী সুকবি মনোরমা রাণাডের নাম সর্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য। তার পর আরও বহু লেখিকা সাহিত্যক্ষেত্রে দেখা দিয়াছেন। ছোটো গল্প রচনায় যাঁরা নাম করেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কৃষ্ণাবাই।
ভারতবর্ষের পশ্চিম প্রান্তে গুজরাত। সংস্কৃত সাহিত্যে গুজরাতী নারী কবি প্রভুদেবী লাটী একদিন ভারতের শ্রেষ্ঠতম
- ↑ বিঠোবা--বিষ্ণু।