পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী
১৮৭

 বিংশ শতাব্দীর তেলুগু লেখিকাদের মধ্যে নিম্নলিখিত কয়েকজনের নাম উল্লেখযোগ্য। প্রাচীন তামিল লেখিকাদের মধ্যে অভৈয়ারের নাম সর্বপ্রথমে উল্লেখযোগ্য। অভৈয়ার নামধারিণী কয়েকজন কবির পরিচয় আমরা পাই, তাঁদের মধ্যে সর্বপ্রথমা জীবনের অধিকাংশ সময় ‘আদি গমান নেডুমান আঞ্জি’ নামক রাজার সভায় কাটিয়েছেন। তিনি জাতিতে ‘পানার’ এবং বিখ্যাত গায়িকা ছিলেন, প্রায় দু’ হাজার বছর আগে এই আকৌমার ব্রহ্মচারিণী নারী সমস্ত দক্ষিণ ভারতে খ্যাতি লাভ করেন। মহারাজ ‘আঞ্জি’ তাঁকে রাজদূত ক’রে কাঞ্চিরাজ ‘টোণ্ডাইমানের কাছে পাঠান, কাঞ্চিরাজের সাহায্য প্রার্থনা ক’রে। চের, চোল, পাণ্ড্য প্রভৃতি রাজসভায় শত্রুমিত্রের কাছে সমান সম্মান লাভ ক’রে পরিণত বয়সে ‘আঞ্জি’র মৃত্যুর পর অভৈয়ার পরিব্রাজিকা হন। দক্ষিণ ত্রিবাঙ্কুরে এখনও পাহাড়কাটা মন্দিরে দেবীরূপে তিনি পূজা পাচ্ছেন। দশম শতাব্দীতে আর একজন অভৈয়ার খ্যাতি লাভ করেছিলেন। ‘কুরি এয়িনি’ নাম্নী আর একজন লেখিকার নাম এবং লেখা পাওয়া যায়, কিন্তু তাঁর আবির্ভাব কাল ঠিক করে বলা যায় না। পাণ্ড্যরাজ বল্লভ দেবের সময়ে মহাসাধক পেরিয়া আলোয়ার ছিলেন শ্রীবিল্লীপুত্তুরের পূজারী। এই বিষ্ণুমন্দিরের পুরোহিতের ঘরে দক্ষিণের ‘মীরা’, তামিলদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ নারী কবি আণ্ডাল ৭১৬ খৃষ্টাব্দে জন্মেছিলেন। তাঁর প্রধান রচনা ‘নাচ্চিয়ার তিরুমোলি’। এতে কবি নিজেকে ‘তিরুমল’ বা নারায়ণের পত্নীরূপে কল্পনা করেছেন এবং তাঁর কাছে মান-অভিমান, বিরহবেদনা প্রভৃতি জানিয়েছেন। দক্ষিণ বিষ্ণুমন্দিরের