পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
২০৩

“শয়তানের দুঃখ”, “স্বর্গের ঐশ্বর্য”, “ইটারনাল লাইফ”, ‘মাইটী অ্যাটম্” প্রভৃতি উপন্যাস এর পরবর্তী স্থান লাভ করে। এই প্রসঙ্গে ইংরেজী গীতি-কবিতা রচয়িত্রীদের দু’চারজনের নাম উল্লেখযোগ্য।

 অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে লেডী অ্যান লিণ্ডসের “বুরো রবিণ গ্রে” যখন দেশবিখ্যাত হ’ল, তখন লেখিকার নাম কেউ জান্‌ত না, এডিনবার্গের এক সাহিত্য-পরিষদ্‌ এই গানের রচয়িতার’ সন্ধান করবার জন্য তিনশ’ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। শেষে লিণ্ডসে ধরা পড়ে কৈফিয়ৎ দিলেন এই বলে, “যারা লিখতে পারে না তাদের লজ্জা দিতে ভালবাসি না বলেই আমি লিখতে ভয় পাই।” সে যুগে আমাদের ইদানীন্তন শত বর্ষ পূর্বের মতই সম্ভ্রান্ত ঘরের মেয়ের লেখা ছাপা হওয়া লজ্জার কথা ছিল। এই যুগে স্কচ লেখিকা লেডি সেয়ার্ণ “যুবরাজ চার্লি” সম্বন্ধে কয়েকটি বিখ্যাত গান এবং “লিলের দেশ” প্রভৃতি লেখেন এবং আইরিশ লেখিকা মিসেস্‌ ক্রফোর্ড “ক্যাথলিন মাভুর্নিন” লিখে বিখ্যাতা হন। এই গানটির কপিরাইট কিছুদিন আগে ন’হাজার টাকায় বিক্রি হ’য়েছে। লেডি জন স্কটের ‘অ্যানি লরি’ গানটি একটি পুরানো গানের নবরূপ মাত্র।

 ইংলণ্ডের নারী কবিদের খুব পুরাণো ইতিহাস আমরা জানি না। খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে নারী কবিরা নিজেদের লেখা কবিতা প্রথম সাধারণের পড়বার জন্য ছাপাতে সাহস করেন। কবি হিসাবে যাঁরা ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন, তাঁদের মধ্যে মিসেস্ ফেলিসিয়া হিম্যান্‌স্‌, এলিজাবেথ