পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

ব্যারেট ব্রাউনিং, অ্যাডেলেড প্রক্টার, জিন ইজেলো, ক্রিষ্টিনা রসেটি, প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। মিসেস্ হিম্যান্সের জন্ম হয় ১৭৯০ খৃষ্টাব্দে চৌদ্দ বছর বয়সে ছেপে তাঁর প্রথম কবিতার বই প্রশংসা পায় নি। ঊনিশ বছর বয়সে এক আইরিশ ক্যাপ্টেনকে এই বীর পূজারিণী বরমাল্য দান করেন, কিন্তু স্বামী তাঁর প্রেমের মর্যাদা রাখেন নি। ছ’ বছর পরে পাঁচটি শিশু সন্তান সহ ফোলসিয়াকে ছেড়ে তিনি ইতালিতে পালিয়ে যান, আর ফেরেন নি। পিতৃশোক, ভ্রাতৃশোক প্রভৃতি সহ্য করে এই পতিপরিত্যক্তা নারী শুধু কবিতা লিখে সংসার চালাতে আরম্ভ করেন, নিজেকে নিঃশেষ ক’রে তিনি সন্তানদের সুখী করতে চেয়েছিলেন। তাঁর “কাসাবিয়াঙ্কা”, “এক পরিবারের বিভিন্ন সমাধি”, “শিশুর প্রথম দুঃখ”, “ইংলণ্ডের সমৃদ্ধ সংসার” প্রভৃতি শত শত কবিতা সেদিন সাময়িক পত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। মধুর এবং করুণ রসে অসামান্য কৃতিত্ব দেখালেও তাঁর কাব্যে শক্তি সঞ্চার এবং গভীরতার অভাব ছিল, অতিরিক্ত পরিশ্রমে অল্প বয়সেই ইনি মারা যান।

 পরবর্তী বিখ্যাতা কবি এলিজাবেথ ব্যারেট ব্রাউনিংয়ের খ্যাতি সমসাময়িক বহু পুরুষ-কবিকে ঈর্ষান্বিত করেছিল। তাঁর “দেবদূত” ও অন্যান্য কবিতা ১৮৩৮ খৃষ্টাব্দে বার হয়। তার দু’ বছর পরে তিনি অসুস্থ হয়ে ছ’ বছর শয্যাশায়ী ছিলেন। ১৮৪৫ খৃষ্টাব্দে বিখ্যাত কবি রবার্ট ব্রাউনিংয়ের সঙ্গে তাঁর পত্রালাপ ও সাক্ষাৎ হয়। প্রথম দশ দিনেই দু’জনে প্রেমে পড়েন। বাবা বিয়েতে মত না দেওয়ায় এলিজাবেথ পালিয়ে গিয়ে ব্রাউনিংকে বিয়ে করেন। মিসেস ব্রাউনিংএর “পতুগীজ