পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৮
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

বছর বয়স, তখন তাঁরা নিউ ইয়র্কে ভাগ্যানুসন্ধানে আসেন। কাগজে গদ্য পদ্য লেখা ছাপিয়ে এবং বাড়ীতে সাহিত্য-সভা বসিয়ে তাঁরা অল্প দিনেই বিখ্যাতা হন। তাঁদের লেখার মধ্যে উপাসনার স্তোত্রগুলিই প্রধান, অ্যালিসের আঠারো বছর বয়সের রচনা “একটি মধুর গভীর চিন্তা”এর মধ্যে সব চেয়ে বিখ্যাত। ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে কিরির মৃত্যু হয়, অ্যালিস ভগ্নীশোকে অল্পদিন পরেই মারা যান। তাঁদের ধর্মভাবদ্যোতক কবিতা ও প্রার্থনার গানগুলি এখন পর্যন্ত ইংরেজী-ভাষাভাষী জগতে বহু শোকার্তকে সান্ত্বনা দিচ্ছে। বর্তমান যুগে আমেরিকায় নারী কবির অভাব নেই,—তবে পৃথিবীব্যাপী যশের অধিকারিণী—তাঁরা কেউই এখনও পর্যন্ত হন নি, সুতরাং আমরা তাঁদের কথা বলতে পারলাম না। গল্প উপন্যাস লিখে আর যে ক’জন ঊনবিংশ শতাব্দীতে খ্যাতি লাভ করে গেছেন তাঁদের মধ্যে মারিয়া সুসানা ক্যাথিডের বিখ্যাত বই “মশাল্‌চি” (Lamp lighter) ১৮৫৪ সালে ছাপা হ’বার দু’মাসের মধ্যে চল্লিশ হাজার খণ্ড বিক্রয় হয়। ইংলণ্ড এবং আমেরিকায় আজও এই বইখানির সমাদর আছে। অগষ্টা ইভা বই লিখে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিলেন। তাঁর “সেণ্ট এলমো” “টাইরিফসের কবলে” “বিউলা ইনফেলিত” প্রভৃতি বই প্রকাশকরা প্রচুর টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। একমাত্র “বস্তি” বইখানির জন্য তিনি পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা পান। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় ইনি সোবাইল সহরে আহত সৈনিকদের জন্য একটি বেসরকারী হাঁসপাতাল নিজ ব্যয়ে স্থাপন করেছিলেন এবং নিজে সেখানে পরিচর্যার অংশ গ্রহণ করেছিলেন। সমসাময়িক সুলেখিকা ম্যারিয়ন হার্ল্যাণ্ডের আসল