পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১০
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

হাঁসপাতালে সেবিকার নানান্ কাজ নিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য জন্মের মতো ভেঙ্গে যায়। যেখানে যে অবস্থায় এবং যে কাজেই থাকুন, তিনি ছেলেদের জন্য সুন্দর সুন্দর গল্প লিখতে পারতেন। তাঁর হাঁসপাতালের গল্পগুলিরও সে যুগে তুলনা ছিল না। শেষ জীবনে ইনি মোটের উপর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে কাটিয়ে গেছেন। শিশু-সাহিত্যের অন্যতম লেখিকা মেরী সেপস্ বা মিসেস্ ডজ্ জন্মেছিলেন ১৮৩৮ খৃষ্টাব্দে। অল্প বয়সে বিধবা হ’য়ে দু’টি ছেলে নিয়ে ইনি পিতৃভবনে ফিরে আসেন। ছেলেদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা নিয়ে তিনি গল্প লিখতেন। সঙ্গীতে, চিত্রে, ভাস্কর্যে, বার বারে তিনি সমভাবে দক্ষতা দেখিয়ে গেছেন। ১৮৭৩ খৃষ্টাব্দ থেকে দীর্ঘকাল সেণ্ট নিকোলাস নামক সাময়িক পত্রের সম্পাদনা করেছেন। ১৯০৫ সালে তাঁর মৃত্যুতে শিশুসাহিত্যের একজন শ্রেষ্ঠ সহৃদয় বন্ধু হারিয়েছে। আমেরিকার আদিম অধিবাসীদের সম্বন্ধে সহানুভূতিপূর্ণ রচনা আমরা প্রথম পাই হেলেন হাণ্টজ্যাকসনের কাছে। এই অত্যাচারিত জাতির স্বপক্ষে তিনি তীব্র ভাষায় সরকারকে আক্রমণ ক’রে “শতাব্দীর অপমান” লেখেন। সরকার তাঁকেই এ বিষয়ে অনুসন্ধানের ভার দেন, তিনি সাধ্যমতো এই দুরূহ কর্ত্তব্য পালন ক’রে অনেক অন্যায়ের প্রতিকার করে গেছেন। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস “র‍্যামোনা” এই লাল মানুষদের নিয়েই লেখা। পরবর্তী লেখিকা ফ্রান্সেস্‌ হজসনের জন্ম ইংলণ্ডে, তাঁর পনেরো বছর বয়সের সময় তাঁর বাবার মৃত্যু হ’লে তাঁর মা এসে আমেরিকায় বাস করেন। শৈশবেই তিনি চমৎকার গল্প বলতে পারতেন, অল্প বয়সে অর্থাভাবে অনেক লেখা তাঁকে ব্যবসায় হিসাবে