পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
২১১

ছাপাতে হয়। তাঁর প্রথম বিখ্যাত বই “শার্লি চিনের ঝঞ্ঝাট”, তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ বই “লৌরীর মেয়ে এবং সব চেয়ে বিখ্যাত বই “ছোট্টো লর্ড ফণ্টলরয়”। “লৌরীর মেয়ে” বইখানি কুলি মজুরদের সুখ-দুঃখ নিয়ে লেখা। এঁর পরবর্তী লেখিকা অ্যামেলিয়ার জন্ম ইংলণ্ডে, বিয়ের পর তিনি স্বামীর সঙ্গে আমেরিকায় যান। ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে পীতজ্বরে স্বামীকে এবং তিন ছেলেকে হারিয়ে ভাগ্যান্বেষণে তিনটি মেয়ে নিয়ে নিউইয়র্কে গিয়ে বই লিখতে আরম্ভ করেন। তাঁর সে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়। সত্তরখানি উপন্যাস তিনি একে একে লেখেন এবং সবগুলিই তৎকালে সমাদৃত হয়। এই যুগে এলিজাবেথ ষ্টুয়ার্থ ফেল্প্‌ম্‌ পরলোকের কথা নিয়ে “খোলা দরজা” উপন্যাসখানি লেখেন। তেরো বছর থেকে তিনি লিখতে আরম্ভ করেন, ছোটো গল্প এবং উপন্যাস দু’য়েতেই তাঁর শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। দীর্ঘকাল তিনি বহু সাময়িক পত্রের লোকপ্রিয় লেখিকা ছিলেন, “অ্যাডিসের গল্প”, “টারসের ম্যাভোনা”, “একটি জীবন” প্রভৃতি উপন্যাসে আর্ত মানুষের, এমন কি পশুর প্রতি তাঁর আশ্চর্য সমবেদনা দেখা যায়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধে “সাধারণ তন্ত্রের রণ-সঙ্গীত” নামে যে গানটির সুর সহস্র সহস্র সৈনিকের হৃদয়ে শক্তি সঞ্চার করত, তার লেখিকা জুলিয়া ওয়ার্ড হাউ বহু গল্প কবিতা লিখেছেন, বহু সৎকার্যে শক্তি এবং অর্থ ব্যয় করেছেন এবং সভাসমিতিতে বক্তৃতা দিয়েছেন। গৃহে তিনি মাতা এবং আদর্শ-পত্নী ছিলেন। এর পরবর্তী লেখিকা সারা ওর্ণ জুয়েটের “ডিপ হেভেন”, “গ্রামের গলি”, “সূচ দেবদারুর দেশ” প্রভৃতি পড়লে সে যুগের সমুদ্রতীরবাসী মৎস্য-