পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
২১৩

সুলেখিকা কেট ডগ্‌লাস্‌ উইগিনের নাম করতে হয়। তাঁর সখীদের খৃষ্টোৎসবের গান “টিম্‌থির সন্ধান” “সানিব্রুক ফার্মের রেবেকা” প্রভৃতি শুধু গল্প বইয়েই নয়, অভিনয়েও খুব নাম করেছে। তাঁর “পেনিলোপির অগ্রগতি” পড়ে অনেক শিশু আজও কল্পনায় দেশভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে। লেখিকা নিজে সতেরো বৎসর বয়সে শিশুশিক্ষা-প্রণালী শেখবার জন্য সানফ্রানসিস্‌কো যান এবং নিজে কিণ্ডার গার্টেন ট্রেনিং স্কুল ক’রে ছেলেমেয়েদের শিক্ষাকে আনন্দময় করবার জন্য আজীবন চেষ্টা করেছেন। তাঁর লেখায় শিশুদের প্রতি তাঁর আন্তরিক কল্যাণ বুদ্ধি ছত্রে ছত্রে পরিস্ফুট। এরপর মিসেস মার্গারেট ডেল্যাণ্ডের লেখা বইয়ে পেনসিল ভেনিয়ার মধুর গ্রাম্য চিত্রগুলির, মিসেস্ ফ্রিম্যানের লেখা নিউ ইংলণ্ডের কলের কুলিদের করুণ কাহিনীগুলির, প্রেস্ কিংয়ের লুসিয়ানার ঐতিহাসিক গল্পগুলির, হেলেন রাইসেন স্নাইডেনের সেনো নাইট সম্প্রদায়ের বিচিত্র চরিত্রচিত্রগুলির উল্লেখ প্রয়োজন। এরপর একজন শক্তিশালিনী হাস্যরসের লেখিকার দর্শন পাওয়া যায়, তাঁর নাম অ্যালিস হিগ্যান রাইস। তাঁর বিখ্যাত “মিসেস্ উইগ্‌স্” বইটি বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে। “রুথ এশোরি ষ্টুয়ার্টে”র নিগ্রোদের চরিত্র-চিত্রগুলি তাঁর দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা;— হতভাগ্য নিপীড়িতদের কাহিনী। জুলিয়া ম্যাগ্রুডারের “রাজকুমারী সোনিয়া” “মৃত সেলভেস” প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। জোসেফাইন ডজ ডাস্কার তাঁর “ভিলিপের পাগলামি” দিয়ে, তাঁর শিশু-চরিত্র দিয়ে হাস্যরসাত্মক বই লেখা শুরু করেন এবং এই ধরণের বই বড়দের লেখাতে এর শক্তির