পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১৪
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

পরিচয় পাওয়া যায়। ইনি এখনও জীবিতা আছেন। মিসেস্ অ্যাটউড মার্টিন “জর্জ ম্যাডন মার্টিন”- এই ছদ্মনামে “এমিলু” প্রভৃতি কয়েকখানি বিখ্যাত বই লিখেছেন। তাঁর বই একটি ছোটো মেয়ের স্কুল-জীবন নিয়ে। এ বইটী পড়ে অনেক অভিভাবক শিশুদের সঙ্গে সদয় ব্যবহার করতে প্রেরণা পেয়েছেন। বর্তমানে আমেরিকায় এত লেখিকা এত রকম বিষয়ে লিখছেন যে, তাঁদের হিসাব দেওয়া সম্ভব নয়। তার মধ্যে দু’ চারজনের কথা বলা চলে। মেরী রেমণ্ডের কানাডার জঙ্গলে গ্রীষ্ম যাপনের গল্প, মেরী রবার্ট রাইন হার্টের রহস্যমূলক উপন্যাস এবং মহাযুদ্ধের কাহিনী, এডিথ হোয়ার্টনের করুণ রসাত্মক “আনন্দময় গৃহ” প্রভৃতি উপন্যাস, গারট্রড্ অ্যবহার্ট লেকের দেশবিদেশের কথা বিখ্যাত। বর্তমান ইংরেজ কবিদের মধ্যে এডিথ সিট্‌ওয়েলের নাম আছে।

 য়ুরোপ ও আমেরিকায় বর্তমান যুগের ইংরেজী সাহিত্যের প্রধান লেখিকাদের মধ্যে মেরী ওয়েবের “স্বর্ণ শায়ক” (১৯১৬), “মৃত্তিকাগত” (১৯১৭), “বহু মূল্য বেন” (১৯২৪), শীলা কে স্মিথের “সাসেক্স গর্স্” (১৯১৬), “কাঁচা আপেলের ফসল” (১৯২০), “জোয়ানা গডেন” (১৯২১), “আলার্ড বংশের শেষ” (১৯২৩) “জর্জ এবং রাষ্ট্র” (১৯২৫) নামক উপন্যাস এবং “ইংলণ্ডের শাশ্বত মত”, (১৯২৫) নামক প্রবন্ধ পুস্তক উল্লেখযোগ্য। নায়োবি মিচিসনের অধিকাংশ গল্প উপন্যাসের পটভূমিকা প্রাচীন গ্রীস বা য়ুরোপ। তার প্রধান বই “মেঘ কোকিলের দেশ” (১৯২৫) “কালো স্পার্টা” (১৯২৭) ও “শস্যের রাজা” এবং “বসন্তের রাণী” (১৯৩১)। সিল্‌ভিয়া