পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১৬
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

 বর্তমান কবিদের মধ্যে এডিথ্ সিট্‌ওয়েলের “কবিতা সংগ্রহ” (১৯৩০), “ক্যাথারিন ম্যান্সফিল্ড” (১৮৮৮-১৯২৩), তাঁর ছোটো গল্প সংগ্রহ “আনন্দ” (ব্লিস), ১৯২১ খৃষ্টাব্দে ‘ফেমিনাভি হোরোজ’ পুরস্কার পায়। তাঁর দ্বিতীয় বিখ্যাত গল্প সংগ্রহ “কপোত-নীড়” ১৯২৩ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। রোজ সেকালে তাঁর “বিপজ্জনক যুগ” নামক উপন্যাস লিখে (১৯৩২ সালে) পূর্বোক্ত পুরস্কার পান। “পটারিজ্‌ম্‌” (১৯২০) “মূর্খের দ্বারা কথিত (১৯২৩) এবং “তারা হেরে গেল” (১৯৩২) তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস। কনষ্ট্যান্স হোম্‌সের “নিঃসঙ্গ লাঙ্গল” (১৯২৪) উপন্যাসে তিনি বন্যার দুর্দিনে উত্তর ইংল্যাণ্ডের প্রজার প্রভূভক্তি এবং অতীতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। উইলা ক্যাথারের “আর্ক বিশপের কাম্য মৃত্যু এল” (১৯২৭) একখানি বিখ্যাত বই।

 আমেরিকার ক্যানেডিয়ান লেখিকা মাজো দ্য লা রোশ্ এর “নীচ জীবন” এবং অন্যান্য অভিনয় (১৯২৫) এবং “ভ্যাল্‌না” (১৯২৭) “হোয়াইটোক্‌স্‌” (১৯২৯), “ফিঞ্চের ঐশ্বর্য” (১৯৩১), “জানার প্রভু” (১৯:৩), “নর্মান দুর্গের ধারে” (১৯৩৪) বিখ্যাত বই। ষ্টেলা বেনসনের “আমি সেজে দাঁড়ালুম” (১৯১৫), “নিঃসঙ্গ জীবন” (১৯১৯), “টাবিট্‌কে নেড়ে বসালো’ (১৯৩১), খ্যাতি লাভ করেছে। ভারতবর্ষ, চীন, আরব, ইংলণ্ড এবং আমেরিকার বাইরে অন্যান্য দেশের লেখিকাদের সঙ্গে আমাদের সম্যক্ পরিচয় নেই, তবে যতদূর জানা যায়, তা’তে ফ্রান্সে এবং জার্মানীতে ইংলণ্ডের অনেক আগেই নারীরা সাহিত্য সেবায় যোগ দিয়েছিলেন, ইটালিতে প্রাচীন রোমক সংস্কৃতির