ধারা তো চলছিলই। ফরাসী বিদুষীদের মধ্যে একাদশ শতাব্দীতে এলোয়াজ, ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মার্গে-রিৎ দ্য বুর্গোঞ্, পঞ্চদশ শতাব্দীতে লুইজ্ দ্য সাভোয়া (১৪৭৬-১৫৩১) ষোড়শ শতাব্দীতে লুইজ্ শার্লি লাবে (১৫২৬-১৫৬৬) মাদাম ক্যারোলিন অলিভিয়েরের নাম শোনা যায়।
মাদাম গিয়ঁ, মাদাম মৎভিল্ এবং মাদাম দ্য লাফায়েৎ প্রধানতঃ ধর্মোপদেশ এবং স্মৃতি কথা লিখে বিখ্যাতা হন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে সোফি দ্য লা লিভ্, দ্য বেলগার্দ’বা কঁতেস্ হুদ্তো (১৭৩০-১৮১৩) মাদাম সাবিন্ ট্রাস্তু (১৭৯৫), মারী জোসেফিন, রোজ টাসে’ বা সাম্রাজ্ঞী জোসেফিন (১৭৬৩-১৮১৪) তাঁর কন্যা এবং তৃতীয় নাপোলেয়ঁরের মা অর্তাঁস্ ইউজেনি দ্য বোআর্নে (১৭৮৩-১৮৩৭), মাশিয়িনেস্ দ্য ত্রোভান্, এমে দ্য কোয়াঞ্যি, মার্সেলিন দেবোর্দ ভালমোর (১৭৮৭-১৮৫৯) কবিখ্যাতি লাভ করেছিলেন। এঁদের মধ্যে অঁর্তাস্ সকল কলানিপুণা, সোফি বহু শাস্ত্রজ্ঞা, গিয়ঁ পুণ্যবতী এবং ধর্মজ্ঞা, লুইজ্ লাবে রণনিপুণা এবং এমে দ্য কোয়াঞ্যি (ফ্লোরির ডাচেস্) রাজনীতিজ্ঞা বলে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর রাজনীতিজ্ঞা বীর নারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠা মাদাম রোলাঁ ফরাসী বিপ্লবের অন্যতম নেত্রী ছিলেন। দলগত বিরোধে তাঁদের পক্ষভূক্ত জিরঁদিষ্ট্ দলের আধিপত্য নষ্ট হ’লে, তাঁর স্বামী মন্ত্রীত্ব ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন, কিন্তু মাদাম রোলাঁ শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবার জন্য পারীতে থেকে শত্রুর হাতে বন্দিনী হন এবং শেষে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে গিলোটিনে প্রাণ দেন, তাঁর স্বামী ও তাঁর মৃত্যুর কথা শুনে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর পূর্বে